ঘূর্নিঝড় মিগজাউনের প্রভাবে টানা দুই দিনের ভাড়ী বর্ষণে মুন্সীগঞ্জের ৬৫ টি ইটভাটার প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সিরাজদিখান উপজেলার ৫৬ টি ইটভাটার হাজারো শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তার মধ্যে উপজেলার বালুচরের নুর ব্রিক্স ও মোল্লা ব্রিক্স এ ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এসব ইটভাটার মালিক ও ম্যানেজাররা জানান, তৈরী কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরোজমিনে উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী এলাকার বেশ কটি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, দুদিনের টানা বৃষ্টির ফলে এসব ইটভাটার পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত ইটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।আর এসব ইটভাটার কর্মরত শ্রমিকরা কাজ করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নুর ব্রিক্স ম্যানেজার আব্দুস সালাম জানান, তার ইট ভাটায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ কাঁচা ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতি হয় ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা। বর্তমানে তারা শ্রমিকদের চালিয়ে রাখতে পারছেন না। মোল্লা ব্রিক্স এর ম্যানেজার মো. জহির জানান, তার প্রায় দেড় লাখ ইট নষ্ট হয়েছে। এই ক্ষতি ও নতুর করে ঠিকঠাক করতে তাদের ৮-১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। ন্যশনাল ব্রিক্সস এর মালিক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দীন মোল্লা মেম্বার জানান গেলো দুদিনের টানা বৃষ্টিতে একেকটি ইটভাটার প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকার ক্ষতির স্বীকার হয়েছে ব্যাবসায়ীরা। জেলায় ৬৫ টি ইট ভাটা রয়েছে। এর মধ্যে সিরাজদিখানে ৫৬ টি ইট ভাটা রয়েছে। তাই ইট ভাটার মালিকদের পক্ষে তিনি সরকারের সরকারের সহযোগিতা কামণা করেছেন।