দিনাজপুরের বিরলে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে মারপিট করে মা-ছেলেসহ ৬ জনকে রক্তাক্ত জখম করছে। এতে মহিলাসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মনোয়ারা নামের এক মহিলার অবস্থা আশংকাজনক। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আহত মনোয়ারা (৬০)। আহত অন্যান্যরা বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিরল উপজেলার ৫ নং বিরল ইউনিয়নের পূর্বমহেশপুর গ্রামের মৃত ইমান আলী বেহারী এর বাড়িতে প্রতিপক্ষ আলম গংরা শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে এ মারপিটের ঘটনাটি ঘটিয়েছে । হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুলাল হোসেন জানান, বিরল উপজেলার পূর্বমহেষপুর গ্রামের মৃত কাশেম আলী এর ছেলে আলম গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এরই সুত্র ধরে গত শুক্রবার দুলাল হোসেন এর ৭ দিন বয়সী একটি বাছুর প্রতিপক্ষ আলম গংদের বেগুন ক্ষেতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এতে বাঁধা নিষেধ করায় মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে প্রতিপক্ষ আলম (৪৩), আবু বক্কর (৪০), ইলিয়াস আলী (৩৫), রুবেল (৩০), মৃত ইউছুফ আলী এর ছেলে বাবু (৫২), বাবু এর ছেলে শিবলু (২৩) ও আকাশসহ (১৯) আরও কয়েকজন নারী-পুরুষ লাঠি সোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুলাল হোসেন এর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে দুলাল হোসেন এর মা মনোয়ারাকে (৬০) এলোপাথারীভাবে মার ডাং করতে শুরু করে। এ সময় দুলাল হোসেন (৩৫), জিল্লুর রহমান (৪০), দুলালী বেগম (৩০), নুরনবী (২৫) এগিয়ে গেলে তাদেরকেও বেদম প্রহার করে সকলকে রক্তাক্ত জখম করে ঘরের সোকেস ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত মনোয়ারা (৬০)সহ অন্যান্য আহতদের বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার গুরুত্বর আহত মনোয়ারা (৬০) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করে। প্রতিপক্ষ আলম গংরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে সকলের মাথায় আঘাত করায় দুলাল হোসেন, মজিবুর রহমান, জিল্লুর রহমান এর মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার দুপুরে দিকেম হাসপাতালে গিয়ে গুরুত্বর আহত মনোয়ারাকে (৬০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখা গেছে। তাঁর মাথার পিছনের হার ভেঙ্গে মাথায় ঢুকে যাওয়ায় অস্ত্রপাচার করতে হবে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন বলে তাঁর স্বজনরা জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।