বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে রাতের আঁধারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর তোলা ও বগুড়া সারিয়াকান্দি থানার সহকারী জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সাইনবোর্ড ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হিন্দুকান্দি মৌজায় সাবেক দাগ নং ৩০৬ এর বর্তমান হাল দাগ ৩৪১ এর ৫১ শতাংশ কাতে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে ১ মাস ধরে। জমিটি ক্রয় করেছিলেন সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার এবিএম রেজাউল করিম মতিন। ৩ বছর আগে তার মৃত্যুতে স্ত্রী ফরিদা মতিন জমিটির দেখ ভাল করেন। ফরিদা মতিন বলেন, ৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে একদল দুষ্কৃতকারী রাতের আধারে টিনের ঘর তোলেন। ফরিদা মতিন আরও বলেন, কেউ জায়গা পাবে ভালো কথা, তার জন্য আইন-আদালত আছে। যেহেতু আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে তার পরও ঘর তোলা সম্পুর্ন বে- আইনি এবং আইনের পরিপন্থী। ফরিদা মতিন বলেন, চোরের মতো ঘর তোলার সাথে জরিত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। ৭ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষ হারুনুর রশীদ, আঞ্জুয়ারা, শাপলা বেগম এমদাদুল ও রাজন রাতের আধারে ঘর তোলার কথা স্বীকার করে স্থানীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ৯ ডিসেম্বর স্থানীয় একদল সংবাদ কর্মী সংবাদ সম্মেলনের খবর দেখে তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সংবাদ কর্মীরা বিভিন্ন ভাবে তদন্ত শেষে ৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের আধারে ঘর তোলার প্রমাণ পেয়েছেন। এ থেকে আরও প্রমাণিত হয় তারা জমিটি নিয়ে এতোদিন মিথ্যা ও অন্যায় ভাবে জোর পূর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় লোকজনেরাও রাতের আধারে ঘর তোলা ও সাইনবোর্ড ভাংচুর প্রত্যক্ষ করেছে বলে সংবাদ কর্মীদের জানান।