সংসদীয় আসন ১৯৮ (গাজীপুর-৫) বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি গত ১৫ বছরে নগদ টাকা ও জমি বেড়েছে কযেক গুন। ২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নিজের নগদ ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ১৮০ টাকা এবং ব্যাংকে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৩২ টাকা জমা দেখালেও তাঁর স্বামীর অর্থের কোন তথ্য উল্লেখ করেননি। ১৫ বছরের ব্যবধানে হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী মেহের আফরোজ চুমকি ও তাঁর স্বামীর সোনার গহনা, জমি, গাড়ি-বাড়ি ও অর্থ-সম্পদের এ তথ্য ওঠে এসেছে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নিজের নগদ কোন টাকা না থাকলেও ব্যাংকে গচ্ছিত ৯ লাখ ৬১ হাজার ৮১০ টাকা এবং তাঁর স্বামীর নগদ ৭৫ হাজার ২৭৯ টাকা এবং ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ দেখানো হয়েছিলো ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৪২৮ টাকা। ২০০৮ সালের নির্বাচনি হলফনামায় তাঁর বাৎসরিক আয় ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ব্যায় ছিলো ৭৫ হাজার টাকা। হলফনামা অনুযায়ী, আয়ের উৎস হিসেবে বাড়ি/এপার্টমেন্ট ভাড়া উল্লেখ করা হয়েছিলো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা এবং ব্যায় ৮ লক্ষ টাকা। আগে গৃহীনি ছিলেন, এখন সংসদ সদস্য ও পরামর্শ দিয়ে আয় দেখানো হয়েছে ২৩ লাখ ২০ হাজার ৫৭৫ টাকা। আগে বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সেই আয় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় দাড়িয়েছে। ৯ম জাতীয সঙসদ নির্চাচনে হলফনামায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৯ লাখ ৬১ হাজার ৮১০ টাকা জমা থাকার কথা বলা হলেও এবার নিজের নামে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৩২ টাকা দেখানো হয়েছে। তবে এবারের হলফনামায় স্বামীর অর্থের কোন তথ্য উল্লেখ করেননি তিনি। আগের হলফনামায় তাঁর স্বামীর পোস্টাল সেভিংস ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ছিলো ১২ লাখ টাকা এবং স্টক এক্সচেঞ্জ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখানো হলেও, এবার এ খাতে কোন টাকা দেখানো হয়নি। এবার চুমকি’র নিজের ২০ হাজার টাকার গহনা থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ১৫ বছর আগেও একই ছিলো তবে পূর্বে তাঁর স্বামীর ১ লাখ ৭২ হাজার টাকার গহনা থাকলেও এবার কোন গহনা দেখানো হয়নি। এদিকে, ২০০৮ সালে হলফনামায় মেহের আফরোজ চুমকি’র কোন কৃষি জমি না দেখালেও ১৫ বছরে ব্যবধানে কৃষি জমির পরিমাণ শূন্য থেকে বেড়ে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজারে দাড়িয়েছে। তাছাড়া তার বাসায় বহু মূল্যমান আসবাবপত্র থাকলেও হলফনামায় দেখানো হয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকা এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রী দেখানো হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। যা আগে তাঁর স্বামীর ছিলো ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার।এছাড়াও মেহের আফরোজ চুমকি’র নিজের বাড়ি ও এপার্টমেন্টের মূল্য দেখানো হয়েছে ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তাঁর স্বামীর কৃষি জমির মূল্য ৫ লাখ ১১ হাজার ৭৫২ টাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ করা হলেও ২০২৩ সালের হলফনামায় স্বামীর নামে শূন্য দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ সংসদ সদস্য প্রার্থীর ব্যক্তিগত কোন ঋণ নেই। নিজের বা তাঁর স্বামীর কোন গাড়ি রয়েছে কি না তাও হলফনামায় উল্লেখ করেনি। যদিও ২০০৮ সালে তাঁর স্বামীর গাড়ির দাম দেখানো হয়েছিল ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মেহের আফরোজ চুমকি’র নামে কোন মামলা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।