ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপায় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের পাইকারি দাম মণে ৩ হাজার টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। গত ৩ দিন আগে শৈলকূপার বিভিন্ন হাটবাজারে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ৭ হাজার ও মুড়িকাটা সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে আজ সকালে বুধবার হাটফাজিলপুর বাজারে ও গতকাল শৈলকূপা হাটে পুরোনো ৪ হাজার ও মুড়িকাটা ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। উপজেলার হাটফাজিল, লাঙ্গল বাঁধ ও শৈলকূপা সহ বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে দেখা গেছে তিন দিনের ব্যবধানে ৭ হাজার টাকার পেয়াজ ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দরে প্রতিমন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার খবরে হঠাৎ বাজারে দাম বেড়ে যায়। তবে এখন সাভাবিক আছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম, নিশিত মন্ডল জানান, ‘শনিবারের তুলনায় বুধবার (আজ) প্রতি মণ পেঁয়াজ প্রায় ৩ হাজার টাকা কমে কিনেছি।’ ভাটই বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসেছিলেন কৃষ্ণনগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গত হাটে পাইকারি প্রতি মণ ৭ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকায়। হাটফাজিল পুর গ্রামের মনিরুল ইসলামও আগের তুলনায় ৩ হাজার টাকা কমেদামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন বলে জানান। হাটফাজিলপুর বাজারে ( আজ) আসা চুয়াডাঙ্গা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জানান তাদের এলাকায় এখান কার চেয়ে তাদের স্থানীয় বাজারে দাম আরও কম হওয়ায় তিনি পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যান। এব্যাপারে শৈলকূপা হাটের খুচরা ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন জানান, আগের হাটে তারা দেশি পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলেন ২০০ টাকা কেজি। মুড়িকাটা ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বিক্রি করেছেন মুড়িকাটা ৮০ থেকে ৯০ ও পুরোনো ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এদিকে বাজার তদারকিতে আসা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বনি আমিন বলেন, আগের হাটের তুলনায় বর্তমানে বাজারে প্রতিমন পেঁয়াজ ৩ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। চাষিদের মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার পাশাপাশি বাজার তদারকি অব্যাহত থাকলে দামও স্থিতিশীল থাকবে। তবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।