তেঁতুলিয়া হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স চালক নাই। নতুন এ্যাম্বুলেন্স গাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে গ্যারেজে বন্ধি থাকায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম। গত ০২ ডিসেম্বর/২৩ পত্রিকায় সংবাদ খবর প্রকাশের পর তেঁতুলিয়া হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স একজন চালক যোগদান করেছে। গত মঙ্গলবার অপরাহ্নে আলম মিয়া নামে একজন এ্যাম্বুলেন্স চালক যোগদান করেছেন। তিনি এরআগে নওগাঁ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাহাবুবুল হাসান এর উপস্থিতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মাসুদ পারভেজ এ্যাম্বুলেন্স চালকের হাতে গাড়ীর চাবি তুলে দেন। পরে চালক গ্যারেজ থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা গাড়ীটি রোগী পরিবহণের জন্য বের করে আনেন।
উল্লেখ্য যে, তেঁতুলিয়া হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল মজিদ বাবু ক্যান্সার জনিত রোরেগ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ জুলাই/২০২২ খ্রিঃ মারা যান। তার মৃত্যুর পর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি চালকের অভাবেই দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে গ্যারেজে পড়ে আছে। এ্যাম্বুলেন্সটি চালু না থাকায় হাসপাতালের অনেক জটিল ও কঠিন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জনসাধারণ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল বা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিতে পারত না। এদিকে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ থাকায় লক্কর-ঝক্কর মাইক্রোবাস নামক সাঁজানো বেসরকারিভাবে এ্যাম্বুলেন্সগুলো রোগী বহনে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দিত। এছাড়া এসব এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দূরবর্তী হাসপাতালে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে মাঝপথে গাড়ী নষ্টসহ রোগীর স্বজনদের নানারকম দূভোর্গের স্বীকার হতে হত। হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স চালক যোগদান করায় জনসাধারণের সেই দূভোর্গ লাঘব হবে।
এব্যাপারে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভার.) ডাঃ মোঃ রাজিনুল হক বলেন, সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যুর পর চালকের অভাবে গাড়ীটি গ্যারেজে ছিল। অতিসম্প্রতি একাধিক জাতীয় দৈনিক হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স চালক নাই খবর প্রকাশের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একজন এ্যাম্বুলেন্স চালককে নওগাঁ হাসপাতাল থেকে বদলী করে এখানে যোগদান দিয়েছেন।