মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সৈয়দপুর মেডিকেল কোচিং সেন্টার বিটস এর পরিচালক আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের কয়েক কোটি টাকা মুল্যের একটি বাংলো দখল করে। পরে সেখানে বিটস নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। ওই কোচিং সেন্টারের সে পরিচালক। এ ছাড়াও তিনি সেবা নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিক। পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ডাঃ জিল্লুর হাসান রনির মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনৈতিক উপায়ে মেডিকেলে ভর্তি করান। ইতোমধ্যে তাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃত ডাঃ সোহানুর রহমান সোহান বিটস কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পুর কাছ থেকে ২০১৩ সালে প্রশ্ন পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তা হিসেবে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। গত সোমবার থেকে বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন চিকিৎসকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন প্রশ্নফাঁস চক্রের মুল হোতা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিটস কোচিংয়ের পরিচালক আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু। ডাঃ ফয়সাল আহমেদ রাসেল, মোঃ রায়হানুল ইসলাম সোহান, বকুল রায় শ্রাবণ, ডাঃ মোঃ সোহানুর রহমান সোহান, ডাঃ তৌফিকুল হাসান রকি, ডাঃ ফয়সাল আলম বাদশা এবং ডাঃ ইবরার আলম। সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার সবাই মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে। তাদের কাছ থেকে চক্রের অন্যান্য সদস্য ও অসাধু উপায়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া অনেক শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার ডাঃ তৌফিকুল ইসলাম রকি আগে গ্রেপ্তার ডাঃ জিল্লুর হাসান রনির গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিলেন। তারা দুজনই রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করেছেন। রকি বিটস কোচিংয়েও ক্লাস নিতেন। রকি, হাপ্পু ও রনি মিলে অনৈতিক উপায়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে দেশের বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি করান বলে জানান সিআইডি।