নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাওয়ায় চিত্রনায়িকা শারমিন আকতার নিপা মাহিয়া মাহিকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এই চিত্রনায়িকা এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন রাজশাহী-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মো: আবু সাইদ স্বাক্ষরিত এই নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশে আগামী ১৭ ডিসেম্বর স্বশরীরে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে উপযুক্ত জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১৪ ডিসেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘আচরণবিধি লঙ্গণ করে ভোট চাচ্ছেন মাহি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, প্রার্থিতা ফিবে পাওয়ার পর রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী ও তানোর) আসনে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন মাহি। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মাহি তার ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। পোস্টে দেখা যায় তিনি নিজ এলাকা রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী ও তানোর) আসনে জনসাধারণের কাছে ভোট চাওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির নিকট গোচরীভূত হয়েছে যে, আপনি গত ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতিক বরাদ্ধ করার আগেই গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক জনসমাগম করে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চান। আপনার সেই আচরণের মাধ্যমে আপনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচারণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬ঘ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে। এমতাবস্থায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬ (ঘ) ও দিখি ১২ লঙ্ঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১ ঘটিকার সময় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে চিত্রনায়িকা মাহির নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের নিউজ প্রকাশিত হলে গভীর রাতে ফেসবুক লাইভে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলতে দেখা যায়, তিনি কোন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। কেবল মাত্র ওই অঞ্চলের মানুষদের সাথে কুশল বিনিময় ও দোয়া চেয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ হয়নি সেক্ষেত্রে আমি কিভাবে ভোট চাইবো। এ ছাড়া আমি একবারের জন্যও ভোট চাইনি বলে দাবি করেন তিনি। এই ভিডিও বার্তা প্রদানের ১২ ঘন্টার মধ্যেই মাহি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের নোটিশ পান।