মধ্য দুপুরের মধ্যেই ছুটি দিয়ে বিদ্যালয় তালাবদ্ধ করে বাড়িতে চলে যায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুর্শা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। এতে স্থানীয় ও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরেজমিনে বুধবার দুপুর ১টায় ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু দিবসের কর্মসূচি দায়সারা ভাবে পালন করেই প্রতিদিনের ন্যায় দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শিশিন কুমার সরকার। বিদ্যালয় ছুটি হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীরাও বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে তালা ঝুলিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এমনকি জাতীয় পতাকা উত্তোলন থাকে না বিদ্যালয়ের ছুটির নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য ও জাতীয় পতাকার অসম্মান জানানো হয় বলে স্থানীয় সচেতন মহলের সাথে কথা বলে জানা গেছে। রংপুর জেলার তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ দুই উপজেলার সংযোগ সড়কের ধার ঘেষে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পুরাতন চৌপথীর অদূরে গড়ে ওঠা এই বিদ্যালয়ের গায়ে খুঁজে পাওয়া যায় না বিদ্যালয়টির নাম ফলক। বিদ্যালয়টিতে একটি ৪তলা বিশিষ্ট সুসজ্জিত অ্যাকাডেমিক ভবন ও একটি পুরাতন টিনশেড ভবন থাকলেও নেই বিদ্যালয়ের নামফলক। প্রতিদিনই দুপুর সাড়ে ১২টা হতে ১টার মধ্যেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় ও অভিভাবকদের কাছে। সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দেখা হয় খেলায় মত্ত কয়েকজন শিক্ষার্থীর। তাদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলে, আমরা তো প্রতিদিনই এখানে খেলাধুলা করি। আমাদের বিদ্যালয় তো প্রতিদিনই ১টার আগেই ছুটি দেয়। আজকেও ১টার আগেই ছুটি দিয়েছে। আমরা বাড়িতে বই খাতা রেখে এখানে খেলতে এসেছি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিশিন কুমার সরকার বলেন, আমরা দিবসের সব অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়িতে খেতে এসেছি। জাতীয় পতাকার বিষয়ে বললে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়ে গেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেহেনা ইয়াসমীন বলেন, শিশু দিবস পালনের ছবি ওনার কাছে চেয়েছি। আর বিদ্যালয় কেন এত তারাতাড়ি ছুটি দিলো সে বিষয়ে আমি প্রধান শিক্ষককে লিখিত চিঠি পাঠাবো।