ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ চিত্রা নদীর উপর নবনির্মিত ব্রিজের দুই প্রান্তে সংযোগ স্থাপনকারী রাস্তা নির্মাণ কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্রিজের কাট চলমান থাকা অবস্থায় দু,পাশের ইট খুলে পড়ছে। বালি না দিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাটি ও পুরাতন ইটের খোয়া। যে কোন সময় ব্রীজটি ধসে পড়তে পারে এমন টা আশাংকা করছে স্থানীয় জনসাধারন। ১৯ জুলাই ২০২২ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এ ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় নির্ধারন রয়েছে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮ শ’ ৬১ টাকা। ব্রীজের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হলেও এক প্রান্তে হাট চাঁদনীর সামনে পর্যন্ত ৭০ মিটার এবং অপর প্রান্তে দক্ষিণ দিকে দত্ত সুইটস পর্যন্ত ৯০ মিটার সংযোগ রাস্তা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ওই রাস্তা নির্মাণে বেজ ২৫০ মিলি মিটার,বেজ টাইপ-২ এ ২০০ মিলি মিটার এবং বেজ টাইপ ১ এ ২০০ মিলি মিটার মোট ৬৫০ মিলি মিটার বক্সে অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাস্তাটিতে মাটি ও ইটের খোয়া মিশিয়ে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় ব্রিজটির দুই প্রান্তে রাস্তার পাশ দেওয়াল নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। অতি নি¤œমানের মালামাল দিয়ে কাজ করেছে ঠিকাদার। নির্মাণের কয়েকদিন যেতে না যেতেই পার্শ্ব দেওয়ালের ইট গুলো খুলে পড়ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে নির্মাণ কাজ সিডিউল মাফিক কাজ বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব কালীগঞ্জ উপজেলার সড়ক ও জনপথের থাকলেও তারা তা করছে না। যে কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহজেই নির্মাণ কাজে অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছে। সড়ক জনপথের দায়ত্বরত কেউ সেখা যায় না। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অধিক লাভের আশায় এভাবে নি¤œমানের মালামাল দিয়ে কাজ করছে। কারীগঞ্জ শহরের এই ব্রিজ দিয়ে দিন রাত সর্বসময় যানবাহন, জনসাধারন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে থাকে। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই চিত্রানদীর উপরের ব্রীজ। বিশেষ করে ব্রিজটি দেখার দায়িত্বরত ব্যাত্তিরা কেউ ঠিকমত নজর দিচ্ছে না। যে কারণে কাজটি অতিনি¤œমানের হচ্ছে। স্থানীয় ব্যাবসায়ী আনোয়ার মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী জানান, রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার দোকানের সামনে কয়েকদিন আগে দেওয়াল তৈরি করতে ইটের গাঁথুনি দিয়েছে কিন্তু সেই গাঁথুনি এখনই ভেঙে যাচ্ছে। যে কারণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সংযোগ রাস্তাটির স্থায়িত্ত্ব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। ব্রিজটি নির্মাণের কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘‘কংক্রিট এ- স্টিল টেকনোলজি কোম্পানির’’ পক্ষে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়া আরিফুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়। সিডিউলে উল্লেখ নাই এমন অনেক কাজ আমরা করেছি। ব্রিজের দক্ষিণ দিকে ৯ মিটার আরসিসি একটি ড্রেন করা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থাপনা ভাঙ্গার কাজ সিডিউলে না থাকলেও আমরা সেটিও করেছি। মূল ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যে, বাকি আছে শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে বৃষ্টির সংযোগ রাস্তাসহ সব ধরনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। কালীগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী তুষার কান্তি প্রামানিক বলেন, মাটি যুক্ত বালি ব্যবহারের কথা নয়, এমন টা দিলে সেটা বাতিল করা হবে।