রাজশাহী-৫(পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের নির্বাচণের সময় যত এগিয়ে আসছে। আর ততয় আইনশৃঙ্খালার অবনতি এবং মাদক কারবারিদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচণীয় এলাকাবাসীদের ভাষ্য,নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভেতরে প্রতিনয়ত উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে এবং কয়েক দিনের ভেতরে বড়রকমের এ আসনে সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। দ্বাদশ নির্বাচণে এ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এরা হলেন,আ.লীগের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা,জাতীয় পার্টির অধ্যাপক আবুল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আলতাফ হোসেন মোল্লা, গণফ্রন্টের মখলেসুর রহমান,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম এর শরিফুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান। দুর্গাপুর উপজেলার আ.লীগের নেতা আবদুল লতিফ মৃধা বলেন, এবার নির্বাচণে আ.লীগের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা নৌকার প্রাথীর সঙ্গে চড়ম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান। কারণ, গত ১০ বছরে দারা এমপি থাকা অবস্থায় এই নির্বাচণীয় এলাকায় আ.লীগের ভেতরে ব্যাপক বিভেদ সৃষ্টি করে ফেলেছেন। আর স্বতন্ত্র ঈদলের প্রার্থীর ওবায়দুরের নির্বাচণীয় আসনে ভোটারদের মাঝে অনেক গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর ঝলমলিয়া কানাইপাড়া গ্রামে রাতে নির্বাচণীয় জেরে মনোয়ার নামের এক ব্যক্তির মটরবাইক পোড়ায়ে দেওয়া হয়। ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় থানা পাশে কাজীপাড়া থানা জামে মসজিদ হতে আলতাব নামের এক ব্যক্তির চার্জারভ্যান চুরি করে নেয়। ওই দিন দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নে মৃধাপাড়ায় রাতে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে স্বতন্ত্রর প্রার্থীর সমর্থক চারজন আহত এবং আঃ রাজ্জাক নামের ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একই দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোষ্টার লাগাতে গেলে নৌকার প্রার্থীর নিজ এলাকায় বিড়ালদহ নয়াপাড়ায় পোষ্টার লাগাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। রইচ উদ্দিন নামের আ.লীগের সমর্থক বলেন,স্বতন্ত্র প্রার্থীর আর আ.লীগের প্রার্থীর মাঝে চড়ম উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে এবং কয়েক দিনের ভেতরে হয়তো বড়রকমের সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে এ আসনে। এই মুহুর্তে আইনশৃঙখলা বাহিনী সদস্যরা তৎপরতা না হলে রক্তক্ষয়ীর সংঘর্ষের দিকে এগোবে। নির্বাচণের ডামাডোল বাজছে আর অপরদিকে থানা পুলিশ রাজনৈতিক কিছু পাতি নেতাদের ছত্রছায়ায় নির্বাচণ এলাকা জুড়ে হাত বাড়ালেই ফেনসিডিল ইয়াবা ইরোইন গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মাদক বিক্রেতা বলছে, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে তারা মাদক কারবার করে আসছে। বানেশ্বর এলাকার মানজুর রহমান বলছেন, থানা পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের সখ্যতা থাকার জন্য বাধাহীন ভাবে মাদক কারবারি চালাচ্ছে। বর্তমানে মাদক কারবারিরা নির্বাচণের মাঠে বিভিন্ন স্থানে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিকট পাঠায়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুঠিয়া থানা পুলিশ নির্বাচণের দিকে মনোযোগ না দিয়ে পুকুর খননের দিকে ঝুকেছেন। কারণ এই খাত হতে প্রতিদিন কাড়িকাড়ি টাকা হাতিয়ে নিতে পারছেন। এ ব্যাপারে সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) রাজিবুল ইসলাম বলেন, ১৯ ডিসেম্বর দুর্গাপুর উপজেলায় যে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা তাৎক্ষনিক মামলা করে আসামীকে গ্রেপ্তার করেছি। কোনো ব্যক্তিকেই সুযোগ দেওয়া হবে না। নির্বাচণ সুষ্ঠু করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হবে।