আমি অসহায় বিধবা নারী ও প্রায়ত: বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। উপজেলার আমবাড়ী বাজারে আজাহার মাস্টারের দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে জীবিকার তাগিদে চা-পানের ব্যবসা করে আসছিলাম। এ অবস্থায় ঘর মালিকের নজর পড়ে আমার দিকে। তিনি প্রায়শ: আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকেন। প্রায় ২মাস ধরে তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি করাতে না পেরে, তিনি ২বিঘা জমি ও ১০কাঠা সম্পত্তির উপরে বাড়ী করে দিবেন বলে, আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আমি এ বিষয়ে আমার বিধাব মায়ের সাথে পরামর্শ করে রাজি হই। এরপর বিয়ে রেজি: করতে তিনি আমাকে স্থানীয় কলাতলা গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার পাওয়া না গেলে, হুজুর দিয়ে কলেমা পড়ে বিয়ে করি। পরে রেজিস্ট্রি বিয়ে করবেন বলে স্বামী আজাহার শেখ আমাকে বলেন। পর থেকে আমার বাবার বাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সাথে বসবাস করতে থাকি। আমার স্বামীকে নিয়ে ৩০/১০/২০২৩ তারিখ রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় স্বামী আজাহারের এলাকার কতিপয় লোকজন এসে দরজা খুলতে বলেন। দরজা খুলে দিলে তারা আমিসহ আমার স্বামীকে দেখতে পান। এ সময় তারা বিয়ের কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমরা কলেমা পড়ে বিয়ে করেছি বলে তাদের জানাই। তারা এ বিয়ে গ্রহন যোগ্য নয় বলে, পুণরায় বিবাহ রেজিষ্ট্রার এনে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে ৫ লক্ষ টাকার দেন মোহরে কাবিন রেজিষ্ট্রি করে দেন। এরপর থেকে স্বামী আজাহার আমার পর ক্ষিপ্ত হন। এবং বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেন। তার ধারনা আমি পরিকল্পিত ভাবে এ রেজিস্ট্রি বিয়ের আয়োজন করেছি। রেজিস্ট্রির সময় মোবাইলে তোলা কাবিনের ছবি নেয়া হলেও তা দিয়ে কিছু করা যাবেনা। এমন ধরনের কথা বলে হুমকি দিচ্ছেন আমার স্বামী আজাহার শেখ। উপর্যুক্ত কথা গুলো বলছিলেন, চিতলমারী উপজেলার চর শৈলদাহ আদর্শ গ্রামের প্রায়ত: মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের বিধাব কন্যা সেলিনা বেগম (৩৮)। এব্যপারে সেলিনা চিতলমারী ব্র্যাকের আইন সহায়তা কেন্দ্রে সহায়তা নিতে স্বামী আজাহার শেখের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ঠ বিভাগে কর্মরত সাজিয়া আফরিন। এব্যপারে প্রাত্তন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক আজাহার শেখের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, সেলিনা আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে। উল্লেখ্য, আজাহার শেখ (৬৫), উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের বেতি বুনিয়া গ্রামের মৃতঃ দলিল উদ্দীন শেখের পুত্র।