দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলায় চিত্রা নদীর উপরে কাঠের সেতু এখন গলার কাঁটা স্থানীয়দের। ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকার মানুষ। কালীগঞ্জ মধুগঞ্জ ও ফয়লা এলাকায় চিত্রা নদীর উপরের একটি কাঠের সেতু জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরিনত হতে চলেছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। বিশেষ করে এই কাঠের সেতুটি দিন রাত সর্বসময় জনসাধারনের চলাচলের একমাত্র ভরসা, তবুও কর্তৃপক্ষ ঠিকমত মেরামত করছে না। কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই কাঠের সেতু। সরেজমিনে সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে কাঠের সেতুটি নড়বড়ে ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নির্মাণের দীর্ঘদিন হওয়ায় সেতুর কাঠের কিছুকিছু অংশ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বাঁশের খুঁটি ও পচা কাঠ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে সেতুটি সচল রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। আর সেতুর বিভিন্ন স্থানে কাঠ উঠে ভেঙে পড়ে নদীর মধ্যে পড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল আহম্মেদ, জাহাঙ্গির আলম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই সেতু ভেঙে পড়ে আছে। কিন্তু কেউ ঠিকমত খোঁজ নেয় না। এখন ঝুঁকি নিয়েই ভয়ে ভয়ে সেতু পার হতে হয়। সবচেয়ে সমস্যা হয় শিক্ষার্থীদের। জরাজীর্ণ সেতু পার হতে তারা ভয় পায়। তাই এখানে দ্রুত একটি মজবুত সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের যাতায়াতে খুব সমস্যা হচ্ছে। এখন অনেক রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন, এই ভাঙা সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যা হয় আমাদের। সেতুটি কখন যে ভেঙে পড়ে যায় তার কোনো ঠিক নাই। উপর দিয়ে হাঁটলে কাঠের সেতুটি নড়বড় করে। এটা দিয়ে যাতায়াত করতে খুব ভয় করে আমাদের। এইখানে একটি পাকা সেতু করলে ভালো হতো। সেতু ভাঙা থাকায় অনেক দিন ধরে ওই এলাকার অপর প্রান্তের বসবাসকারী বাসিন্দারা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তাই এখানে সেতু দুটি দ্রুত সংস্কার বা পুনর্র্নিমাণ করা প্রয়োজন। সেতু দিয়ে অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে।