ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ব্যরিষ্টার এম শাহজাহান ওমরের (বীর উত্তম) নৌকায় উঠলেন রাজাপুর কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। বুধবার রাতে আ.লীগের উপদেষ্টা ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু তার বরিশালের বাসায় দুই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অংশ সংগঠনের নেতাদের ডেকে নৌকা জেতাতে কাজ কঠোর নির্দেশনা দেন। তবুও বিএনপি ছেড়ে আসা ওমরের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের মুক্তিযোদ্ধা উপ-কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির। দলের কঠোর অবস্থার মধ্যে শেষ পর্যন্ত মনির যদি মাঠে টিকে থাকতে পারে তবে শাহজাহান ওমরের গলার কাটা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলীয় সমর্থকরা। এ আসনটি বরাবরই বিএনপি ও শাহজাহান ওমরের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। তিনি এ আসন থেকে ৩বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ভূমি ও আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এ এলাকায় তিনি ব্যপক উন্নয়ন হওয়ায় ওমরের প্রতি একটি সহানুভুতি কাজ করত। তবে এবারের সমিকরন অনেকটা ভিন্ন। হঠাৎ করে শাহজাহান ওমর বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় তার সমর্থকদের একাংশ তার সাথে নৌকার নির্বাচনে কাজ করছেন। তবে একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তার ওমরকে বেইমান আখ্যা দিয়ে রাজাপুরে প্রত্যখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেন। বিএনপি ঘরানার এ অংশটি ভোট কেন্দ্রে গেলে শাহজাহান ওমরের বিকল্প প্রার্থীকেই বেছে নেবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি ঘরানার ওমর পন্থী আরেকটি অংশ শাহজাহান ওমরের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে। তবে দলীয় ও বিভিন্ন চাপের কারণে বৃহস্পতিবার তার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে তার একটি সুত্র জানিয়েছে। তবুও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের চাপ উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকতে যাচ্ছেন মনিরুজ্জামান। এদিকে শাহজাহান ওমরের আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়ে খোদ দলের মধ্যেই মিশ্্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রথমদিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শাহজাহান ওমরের সাথে নির্বাচনী প্রচারনায় না নামলেও উভয় পক্ষের মধ্যে ২০ ডিসেম্বর সমঝোতা হওয়ায় এখন দলের প্রথম সাড়ির নেতারা ২১ ডিসেম্বর থেকে নৌকার প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন। তবে স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধিসহ আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনিরের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ও ভোটাররা মনে করেন শাহজাহান ওমর বিএনপি ও আ.লীগের একাংশের যেমনিভাবে সমর্থন ও ভোট পাবেন, ঠিক একইভাবে মনিরুজ্জামান মনিরও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাংশের সমর্থন ও ভোট পাবেন। ভোটের সমিকরনে উভয় দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটের হিসাব বাদ দিলে সাধারন মানুষের দেদুল্যমান ভোট যার দিকে যাবে সে প্রার্থীরই বিজয়ের পথ সুগম হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মনিরুজ্জামান বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে শাহজাহান ওমরের দ্বারা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন, তাই তারা আওযামী লীগের পরিক্ষিত নেতা হিসেবে আমার পাশেই থাকবে বলে আমি মনে করি। আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী তার সাথে রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমরের বলেন, আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলকে অলংকৃত করেছি। আশাকরি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা আমার পাশে থাকবেন।