কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। এরইমধ্যে জমি থেকে বাদাম তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে আর সঠিকভাবে পরিচর্যা করায় এবার বাদামের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তাছাড়া বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক। জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বাদাম চাষ করে আসছেন কৃষকরা। স্থানীয় বাজারে বাদামের চাহিদাও রয়েছে বেশ ভালো। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের। দৌলতপুর উৎপাদিত বাদাম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে বাদাম কিনে নিয়ে যান। চলতি মৌসুমে দৌলতপুর উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। একাধিক কৃষক জানান, এখানকার বেশিরভাগ এলাকা উঁচু। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এখন বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চর অঞ্চলের কৃষকরা। বাদাম আবাদ করতে প্রতি ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। তাতে বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ৬ মণ বাদাম। যা স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। কৃষক আবদুল মোমিন বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বাদাম আবাদ করেছি। তবে বাদাম চাষে কোনো কীটনাশক দেওয়া হয় না। এরইমধ্যে বাদাম তোলার কাজ শেষ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় ৫ মণ। তাছাড়া বাদাম বিক্রি নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। বাদাম চাষি হানিফ বলেন, এ বছর প্রায় ২ বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করেছি। মাঠ থেকে বাদাম ঘরে তুলেছি। গত বছরের তুলনায় এবার বাদামের ফলন খুব ভালো হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম দৈনিক সময়ের আলো কে জানান, কৃষি বিভাগ থেকে বাদাম চাষে স্থানীয় কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বাদাম চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। বাদামের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক।