বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া পার্থ টেস্টে পাকিস্তানের সামান্য যা কিছু উজ্জ্বল দিক ছিল, এর মধ্যে একটি খুররাম শাহজাদের বোলিং। অভিষেক টেস্টেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু আপাতত শুরুতেই থমকে যেতে হচ্ছে ২৪ বছর বয়সী এই পেসারকে। চোটের কারণে খেলতে পারবেন না তিনি সিরিজের বাকি দুই টেস্টে। অভিষেক টেস্টে বোলিংয়ের সময়ই অবশ্য ব্যথা আর অস্বস্তির কথা বলেছিলেন শাহজাদ। পরে স্ক্যান করতে পাঠানো হয় তাকে। সেখানেই ধরা পড়ে পাঁজরের হাড়ে চিড়। এ ছাড়া তলপেটের পেশিতেও চোট আছে তার। অস্ট্রেলিয়াতেই বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে তার চিকিৎসার পরবর্তী ধাপগুলো ঠিক করা হবে। এরপর দেশে ফিরে লাহোরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে চলতে পুনর্বাসন পর্ব। পার্থ টেস্টে পাকিস্তান ৩৬০ রানে হেরে গেলেও শাহজাদ দুই ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংসেই আউট করেন তিনি স্টিভেন স্মিথকে। প্রথম ইনিংসে স্মিথের পাশাপাশি দুর্দান্ত ডেলিভারিতে মিচেল মার্শকে ৯০ রানে বোল্ড করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান তিনি শূন্য রানে, মার্নাস লাবুশেনকে ২ রানে। ব্যথা নিয়েই অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করেন তিনি। এতে তার বোলিংয়ের গতি কমে যায় কিছুটা। তবে কার্যকারিতা কমেনি। বরং এই ইনিংসেই বেশি ভালো বোলিং করে ৪৫ রানে নেন ৩ উইকেট। শাহজাদকে হারানো পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। এমনিতেই মূল পেসারদের একজন নাসিম শাহকে তারা পাঁচ্ছে না চোটের কারণে। পায়ের চোটের কারণে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। দ্বিতীয় টেস্টেও তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আবরারের বিকল্প হিসেবে যে স্পিনার দলে ছিলেন, সেই বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলিও দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারবেন না আঙুলের চোটে। তার কাভার হিসেবে উড়িয়ে আনা অফ স্পিনার সাজিদ খানকে তাই দেখা যেতে পারে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের একাদশে। শাহজাদের বদলে কোনো পেসারকে খেলাতে হলে স্কোয়াডে আছেন হাসান আলি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। বক্সিং ডে টেস্টের আগে মেলবোর্নে একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। সূচিতে না থাকলেও প্রথম টেস্টে দুর্দশার পর প্রস্তুতির জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে অনুরোধ করে ম্যাচটি পেয়েছে তারা।