বগুড়া শেরপুরে ভাতারিয়া গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের মেশিন জব্দ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম। এ সময় তাকে শেরপুর থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন। সচেতন মহল মনে করেন একই ব্যাক্তি বারবার করছে একই অপরাধ। আজ ভ্রাম্যমান আদালত হয় কাল আবার একই কাজ। এর সঠিক সমাধান আজও হয়নি।
জানা যায়, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের শুভগাছা গ্রামের মাটিখেকো রেজাউল করিম লাভলু একই ইউনিয়নের ভাতারিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আবাদি জমি নষ্ট করে মাটি বিক্রি করে আসছে। এতে করে ওই এলাকার অনেক জমি ধসে গেছে। অন্যান্য আবামি জমিও হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার লাভলু অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম। অভিযানের আগাম খবর পেয়ে বালু উত্তোলন কারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা বালু উত্তেলনের শ্যালো মেশিন শব্দ করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগি জমির মালিকরা জানান, এর আগেও এখানে অনেকবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হয়েছে। তবুও লাভলুর মাটি বিক্রির ব্যবসা বন্ধ হয়নি। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি উল্টো লাভলুর রোষানলের স্বীকার হয়েছি। এবারো ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হলো কিন্তু অবৈধ ব্যবসায়ীর কি হবে তা জানিনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম বলেন, শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের গোপন সংবাদ পেয়ে ভাতারিয়া গ্রামের যাই। সেখানে বালু উত্তোলনকারী কাউকে না পাওয়ায় বালু উত্তোলনে ব্যবহার শ্যালো মেশিনটি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। তবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।