কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ফোরকানীয়া পাক দরবার শরীফের রাস্তা ব্যবহার নিয়ে জেসমিন বাসার নামের এক নারী’র উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে কতিপয় লোকজন। এ সময় হত্যার উদ্দ্যেশে তাকে ব্যাপক মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, জেসমিন বাসার’র দাদা আহম্মদ হোসেন জীবদ্দোশায় ফোরকানীয়া পাক দরবার শরীফ নামের একটি দরবার প্রতিষ্টা করে এতাদাঞ্চলের মানুষের মাঝে দ্বীন প্রচার করতে থাকেন। পরিবারের সকলকে ভোগ দখলের সুযোগ দিয়ে তিনি মৃত্যুর আগেই সমুদয় সম্পত্তি দরবারের নামেই ওয়াকফো করে দেন। বর্তমানে দরবার পরিচালনা করেন তার মেয়ে সামিনা খাতুন। দরবারের পাশেই জেসমিন বাসার’র আড়াই কাঠা জমি রয়েছে। দরবার কর্তৃপক্ষ ওই আড়াই কাঠা জমি দখল নিতেই দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ করে আসছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় বিরোধ নিস্পত্তির জন্য তিনি দরবারে গেলে দরবারের প্রধান সামিনা খাতুন’র নেতৃত্বে ফুয়াদ হোসেন সহ ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তার উপর অমানুুষিক নির্যাতন চালায়। কিলঘুষি, লাথি দিয়ে পেটাতে থাকে তাকে। গলায় পা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়। ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
জেসমিন বাসার জানান, আমার আড়াই কাটা জমি দখল নিতে এবং আমার দাদার দান করা দরবার শরীফ দিয়ে আমাদের চলাচল করতে দেবে না বলেই পরিকল্পিত ভাবে সামিনা সহ নারী পুরুষ মিলে তাদের সংঘবদ্ধ গ্রুপ আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশেই তারা এই নির্যাতন চালায়।