চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপির এক নেতাকে গুলি করে এবং অপর দুইজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় এলাকায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি নুর মোস্তফা প্রকাশ বজল (৪৮) গুলি করে ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার (৩৮) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এবং ছলিমপুর ইউনিয়নের ছিন্নমূল এলাকায় ইমন (১৫) নামে অপর একজন কেও ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পরপর ৩টি এসব হত্যা কাণ্ডের ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়, গত রোববার ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম লালানগর মৌলভীপাড়া দোকানে বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি নুর মোস্তফা বজল (৪৮) কে গুলি করে হত্যা করে। তৌহিদের নেতৃত্বে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী মৌলভীপাড়ায় দোকানে একা পেয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। একই গ্রামের বাসিন্দা চিহ্নিত সন্ত্রাসী ডাকাতি সহ ১৮ মামলার আসামি তৌহিদুল ইসলামকে সমাজচ্যুত করা সহ স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নেতা নুর মোস্তফা বজলের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নুর মোস্তফা বজল বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-সভাপতি ছাড়াও গ্রামের সরদার, মৌলভীপাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি ও শেখেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সদস্য এবং এলাকার একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। অপরদিকে রাত ১০ টায় সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মোঃ আলমগীর (৩৫) নামে একজন ব্যবসায়ীকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। একই দিনে ছলিমপুর ইউনিয়নের ছিন্নমূল এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে রাত ৮ টায় ইয়ন (১৫) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএম জানান, তৌহিদ একজন চিহ্নিত ডাকাত তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি সহ ১৮টি মামলা রয়েছে। তৌহিদের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুর মোস্তফাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে ছিনতাইকারীদের হাতে ব্যবসায়ী আলমগীর খুন হতে পারে বলে তিনি ধারণা করেছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।