রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলীর বাড়িতে সোমবার গভীর রাতে ককটেল ছুঁড়ে দুর্বিত্তরা। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত-রাত ৩ টার পর এ ঘটনা ঘটে। একই রাত ১২ টার দিকে বাড়ির পাশে ধোরশা বাজারে নৌকা মার্কার একটি অস্থায়ী নির্বাচনী অফিসেও আগুন দেয় দুর্বিত্তরা। এর আগে মৌগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাসের বাড়িতেও ককটেল ছুঁড়েছে দুর্বিত্তরা। একই উপজেলার দুইজন চেয়ারম্যানের বাড়িতে পরপর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যানদের দাবি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটাচ্ছে দুর্বিত্তরা। তবে কে-বা কারা চেয়ারম্যানদের বাড়ি টার্গেট করে একেরপর এক ককটেল ছুঁড়ছেন তা সনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান, তিনি রাজশাহী -৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের নৌকার পক্ষে ভোট করছেন। কিন্তু গভীর রাতে সিএনজি যোগে এসে দুর্বিত্তরা আমার বাড়িতে ককটেল ছুঁড়েছে। গভীর রাতে ককটেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বাড়ির ছাদে গিয়ে তিনি দেখতে পান, একটি সিএনজি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তিনি ধারনা করছেন, ঐ সিএনজি যোগে দুর্বিত্তরা এসে তার বাড়িতে ককটেল ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দিবেন বলে জানান। মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডল জানান, জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে ককটেল হামলার ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মৌগাছি ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে ককটেল হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।