ভোলার লালমোহনে জোরপূর্বক ভাবে ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি দখলের পায়তারা কারার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ সুত্রে পাওয়া যায়, উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯৩৮ সালে ওয়াকফ স্টেটকে প্রায় ২ একর ৪০ শতাংশ জমির দলিল প্রধান করেন স্থানীয় বাসিন্দা বারু হাওলাদার। ১৯৪০ সাল থেকে বারু হাওলাদার ওয়াকফ স্টেটে ই.সি ৬৭৯২, দলিল নং ৯৭, সি.এস খতিয়ান-৭৮৯, দাগ নং-৩৯৫৯, আর.এস খতিয়ান ৮৫, দাগ নং- ৬১৭৩, এস.এ খতিয়ান ১০৪, দাগ নং-৬১৭৩, বি.এস খতিয়ান ১৫৩৭, দাগ নং-৭৪১৮/৭৪১৯, বি.এস খতিয়ান ১৪১৬, দাগ নং- ৭৪১৫/৭৪১৬ অন্তর্ভুক্ত হয়ে দীর্ঘ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিল। ওয়াকফ স্টেট এর বরিশাল পরিচালকের পক্ষ থেকে ঐ জমির পরিচালনাকারি মাওলানা কামাল উদ্দিন বলেন, আমি এই সম্পত্তিটি দীর্ঘ বছর ধরে পরিচালনা করে আসছি। আমি কখনো এই সম্পত্তির পাশে কাউকে দাঁড়াতে দেখিনি। হঠাৎ করে ওই এলাকার হেমায়েত উল্লাহর ছেলে মোঃ হাফেজ এর নেতৃত্বে একই এলাকার মৃত মজিবুল হক, আবদুল ওহাব, সেকান্দর ও সফিউল্লার ছেলেরা, কামাল উদ্দিন, কাঞ্চন দেওয়াল, আনিচল হক, নিরব সহ আরো অনেকের'ই এই সম্পত্তির উপর নজর দেয়। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে কিছু কাগজপত্রের মাধ্যমে একটি ডিগ্রী অর্জন করে আনেন। আমরা তাৎক্ষণিক এই খবর পেয়ে পরে আমাদের সকল কাগজপত্র গুছিয়ে মাননীয় উচ্চ আদালতে ডিগ্রীর বিরুদ্ধে আপিল করি, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। একই সাথে আমরা এই সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে মাননীয় আদাল আমাদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ করেন এবং গত (২৯ নভেম্বর) এই সম্পত্তির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিজ্ঞ আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একের পর এক জোর পূর্বভাবে এই জমি দখলের পায়ারা চালিয়ে যাচ্ছে। হঠৎ করে ঐ জমিতে চাষকৃত ফসল গুলো জোরপূর্বক ভাবে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফোন (০১৭২৭-২৪৮১৩৮) রিসিভ করেনি।