সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরাইলে হাত ভারি হচ্ছে মাদকাসক্ত ও ব্যবসায়িদের। দ্রƒত বাড়ছে মাদকের বিস্তৃতি। মাদকের উল্লেখযোগ্য বিস্তৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাকলাস সহ লিটন ও সিরাজ নামের ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে পারলে উপজেলা সদরে মিষ্টি বিতরণের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। বুধবার সরাইল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় এসব আলোচনা হয়েছে। সূত্র জানায়, বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার উপস্থাপনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. নাছরিন সুলতানা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা: মো. নোমান মিয়া, সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.আ.ম আতিকুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, কালীকচ্ছ উইপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রূল হুদা চৌধুরী বাদল, শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোছা: আছমা বেগম, চুন্টা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান, পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. কাউছার আহমেদ। সভায় সকল জনপ্রতিনিধি বলেন, সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এলাকার মাদক ব্যবসায়ি ও মাদকাসক্তদের কাছে টাকা পয়সা যাচ্ছে। ফলে তাদের দৌরাত্ব আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যেভাবে মাদকের বিস্তৃতি ঘটছে, এতে করে স্কুল কলেজে পড়-য়া ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। উপজেলার মাদক ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের মধ্যে সভায় ওঠে আসে সরাইল সদরের কুট্রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাকলাস, লিটন, সিরাজ ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের হৃদয়ের নাম। প্রকাশ্য সভায় রফিক উদ্দিন ঠাকুর ঘোষণা দিয়েছেন কুট্রাপাড়া গ্রামের তিন ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করতে পারলে তিনি উপজেলা সদরে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ করবেন। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান ইউএনও। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, অস্ত্র মামলায় জাকলাস ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। তার বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। জাকলাস সহ অন্যান্যের আমরা দ্রƒতই গ্রেপ্তার করব। তবে পুলিশের বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।