আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। অথচ এই নির্বাচনকে ঘিরে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল চারিদিকে গুজব ছড়াচ্ছেন। মূলত ঐসব প্রার্থীর পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা যখন দেখেন ভোটাররা তাদেরকে গ্রহন করছেন না। তখন তারা নানা বিভ্রান্তিকর ও উদ্ভট কথাবার্তা বলছেন। আবার সেই কথা গুলো সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হরদম ঘুরছে। আমার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে একটি শ্রেণি আমার পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। রোববার বিকেলে সরাইল প্রেসক্লাবে বসে উরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার। তিনি বিএনপি দলীয় সাবেক পাঁচবারের এমপি ও কয়েকটি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুল সাত্তার র্ভূঁইয়ার ছেলে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তুষার বলেন, আমার পিতার ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বরাবরের মত ভাটি এলাকার অন্তত অরূয়াইল পাকশিমুল ও চুন্টা ইউনিয়নের লক্ষাধিক ভোটারের সমর্থন আমি পাচ্ছি। নির্বাচন প্রসঙ্গে তুষার আরো বলেন, আমার উপর কোন ধরণের চাপ নেই। অন্য কোন দলের প্রার্থী বা সমর্থকও এখন পর্যন্ত কোন খারাপ আচরণ করেননি। একেবারে স্বাধীনভাবে আমার প্রচারণাসহ সকল কাজ চলছে। বর্তমানে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়েও কোন ধরণের সমস্যা দেখছেন না তিনি। তবে দুটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তুষার। একটি হলো- আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে নিয়ে একটি গ্রƒপ বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এখন পর্যন্ত আমি জানি নির্বাচনটি অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে এতে কোন ধরণের সন্দেহ নেই। ভোটের মাঠে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। যাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারাই নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর কাজ করছে। সরাইল সদরের হাসপাতালের মোড়, কালীকচ্ছ, নোয়াগাও, চুন্টা ও অরূয়াইলে শুধু আমার পোষ্টার গুলো ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছেন। এটি গুটি কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারীর কাজ। জয়লাভের বিষয়ে দূঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে তুষার বলেন, আমার পিতা একজন ভাল মানুষ ছিলেন। সারা জীবন তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তাই মানুষও প্রত্যেকবার ভোটের মাধ্যমে বাবার প্রতি ভালবাসার উত্তর দিয়েছেন। আমি সেই পিতারই সন্তান। আমিও সারা জীবন মানুষের পাশেই থাকতে চাই। এর আগে তুষার সহ¯্রাধিক নারী পুরূষ নিয়ে শো-ডাউন করে সরাইল সদরে প্রবেশ করেছেন। সমর্থকরা তুষারের প্রতীক সোনালী আঁশ (পাট) এর পক্ষে ভোট চেয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছেন সরাইল সদর। সবশেষে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে পথ সভার মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন।