দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসনে আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান নূর (নৌকা), বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন স্বতন্ত্র (ট্রাক) ও জাতীয় পার্টির শাহাজান আলী চৌধুরী (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। এখানে ত্রীমুখী লড়াই হতে পারে এমন মন্তব্য প্রথম দিকে ভোটারদের মধ্যে করা হলেও বর্তমান তাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততোটা ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এতে এ আসনে নৌকা ও ট্রাকের মধ্যে লড়াই হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক তৎপরতা কেন যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। তাছাড়া দলীয় কোন্দল তো আছেই। ফলে জাতীয় পার্টির শক্ত ঘাঁটি নীলফামারী আসটি হয়েছে হাত ছাড়া। এ আসনে লড়ছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থী মো.মোছালিন ইসলাম (ডাব)। এ আসনে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে নির্বাচনী এলাকা। এখন সব স্থানে শুধু শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন দলের পোস্টার, ব্যানার। নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর তার ১৫ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ভোট চাচ্ছেন। তার আমলে উত্তরা ইপিজেড, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নার্সিং ইনস্টিউট, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, দারোয়ানি সুতাকল, সৈয়দপুর টু নীলফামারী রাস্তা সম্প্রসারণ, নীলফামারী সরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও মডেল মসজিদ, নীলসাগর মিউজিয়াম (যাদুঘর) আন্তর্জাতিক মানের শেখ কামাল স্টেডিয়ামসহ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো তুলে ধরে দেয়া হচ্ছে বক্তব্য। অপরপাশে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন (ট্রাক) নিয়ে মাঠে চলমান। তিনিও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে এলাকায় মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ ও গ্রামেগঞ্জে রাস্তা ঘাট করেছেন। এমন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ভোট দাবি করছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি করে মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত নীলফামারী গড়তে চাই। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে জয়ী হবেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহজাহান আলী চৌধুরী (লাঙ্গল) নিয়ে ভোটের মাঠে পিছিয়ে আছেন।