কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলাধীন রায়গঞ্জ বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেন অবৈধ পন্থায় নিয়োগ হওয়ায় এমপিও ভূক্তি বাতিল চেয়ে বিভিন্ন শিক্ষা দপ্তরে আবেদন করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব মোঃ আবদুল হক সরকার। রায়গঞ্জ বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে মোঃ সোহরাব হোসেন ইনডেক্স নং ২৯৯৪১৫ গত ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর নিয়োগ পান। তৎকালীন সময় শুধু মাত্র এসএসসি সনদ ব্যতীত অন্যান্য সনদ কম্পার্টমেন্টাল (বিশেষ বিবেচনায় পাশ) ছিল। নিয়োগকালীন নীতিমালা অনুযায়ী একাধিক তৃতীয় বিভাগধারী শিক্ষক উচ্চ পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ অনুপোযুক্ত। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালণরত অবস্থায় অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছ। ইতোমধ্যে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকের বকেয়া বিলের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের স্বাক্ষর জাল করে (স্বাক্ষর স্ক্যান) কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করেছেন, যা চরম নৈতিক স্খলন বটে। এ সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ বাতিল এবং অবৈধ পন্থায় এমপিও ভূক্তির দায়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যনন্য অভিভাবক সদস্য গত ১০/০৮/২০২৩ তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর এবং বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০/১০/২০২৩ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা একটি চিঠি জেলা শিক্ষা অফিসারকে পাঠায়। উল্লেখ্য মিজানুর রহমান শিক্ষা কর্মকর্তা(মাধ্যমিক-১) অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ০৭(সাত) কার্য দিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রমাণক ও সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুল আলম বিভিন্ন কাজের চাপে নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারলেও তদন্ত কাজ সমাপ্ত করেছেন।