গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিভাগীয় শহর রাজশাহীর রাজনীতির অঙ্গনে শোনা যাচ্ছিল পরবর্তিতে আর রাজশাহী-২ (সদর) আসনটি শরীকদের জন্য ছাড়বে না মহানগর আওয়ামীলীগ। যেমন কথা তেমনই কাজ। তাই এবারের সংসদ নির্বাচনে এই সদর আসনটি শরীকদের ছাড়ছেন না রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগ। ইতিমধ্যেই মহাজোটে থাকা নৌকা প্রতিকের প্রার্থী টানা তিন বারের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী মাঠ কাপাচ্ছেন মহানগর আওয়ামীলীগ। এই আসনে সরকার দলীয় প্রতীক নৌকা থাকলেও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সেই নৌকাকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার কাঁচি প্রতীককে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। এই সদর আসনটি নিজ দলের নেতার হাতে রাখতে একাট্টা রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগ। আওয়ামী লীগের দাবি, গত ১৮ বছরেও এই শহরের এমপির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন দৃশ্যমান নয়। যে কারণে এবার নৌকার মাঝি পরিবর্তন করতে চাই। এরই অংশ হিসেবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) কাউন্সিলরবৃন্দ। গত ২৭ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৯টায় নগরীর শিরোইলস্থ অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশাও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অন্তর্গত ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে মহানগর আওয়ামী লীগ এক মতবিনিময় সভা করেন। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে পূর্বের ন্যয় নৌকা প্রতীক পেলেও এমপি ফজলে হোসেন বাদশার জন্য রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এবার জয়লাভ করাটা খুবই কষ্টসাধ্য বলে মন্তব্য করছেন নগরবাসী। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে, এই নগরীতে ওয়ার্কাস পার্টির চেয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় ভোটার বহুগুনে বেশি। এছাড়াও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার ব্যক্তি ইমেজ অনেক বেশি। এই শিক্ষক নেতা দীর্ঘদিন ধরে জনগনের নায্য দাবী পূরণে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নিরলশ শ্রম দিয়ে আসছেন। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে তার অবদান অপরিসিম। যে কারণে দলবল নির্বিশেষে অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার কাঁচি প্রতীককে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে নির্বাচনী মাঠে শিক্ষাগুরুর জন্য একযোগে কাজ করছে সর্বস্তরের জনগণ।