বগুড়ার গাবতলীতে আদিবাসী নৃগোষ্ঠী সংখ্যালঘু শ্রী মনিলাল রবিদাস (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের ৪৪ বছরের দখলীয় সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে গাবতলীর বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ জ্যাকিসহ তার অন্যান্য ভাইগনের বিরুদ্ধে।
ঘর, দোকান ভাংচুর করে ৩ লাখ টাকার ক্ষতিসহ ৬টি দোকান বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও ওই আদিবাসী পরিবারকে কপালে সুট (গুলি) করার হুমকি প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ ঘটনার স্থানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্তকরে। ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের তরনীহাট ডিগ্রি কলেজ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার দিনই প্রতিকার চেয়ে গাবতলী মডেল থানায় ৫ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে, গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন তরনীহাট ডিগ্রি কলেজ এলাকায় বসবাসকারী মৃত রূপচান রবিদাসের ছেলে মনিলাল রবিদাস বলেছেন, ৪৪ বছর আগে সাড়ে ১৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি তৈরী করে পরিবার পরিজনদের নিয় জায়গাটি ভোগদখল করে আসছেন। ওই জমিনিয়ে আদালতে মামলা হলে তার পক্ষে রায় হয়। এই জমি নিজেদের অবৈধ মালিকানা দাবি করে বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ জ্যাকি ও তার অন্যান্য ভাইগন মিলে বুধবার ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মনিলালের বসতবাড়ী ভাংচুর করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে ও প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে প্রতিবেশি মজনু সরকার (৪৫) ও মুক্তার (২২)কে রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে আহত করে। হামলাকারীরা মনিলাল রবিদাসের ছেলে স্বপনের মোটর সাইকেল সার্ভিসিং ও ভল্কানাইজিং দোকান ভাংচুর করে ও তাদের ভাগির আরো ৫ দোকান বন্ধ করে দেয়।
ঘটনার স্থান পরিদর্শন শেষে পুলিশ চলে আসলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা হাবিবুর রহমান রিপন সংখ্যালঘু আদিবাসী পরিবারক বলে, তোদের ভাগ্য ভালো, কোমরে মাল নিয়ে আচ্ছি, কপাল বরাবর সুট (গুলি) করে দিব বলে প্রাননাশের হুমকি দেয় বলে মনিলাল রবি দাস থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। এসংক্রান্ত প্রমান তার হাত রয়েছে বলেও জানান তিনি। মনিলাল রবি দাস সে, উপজেলা আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সংগঠনের একজন সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাদী হয়ে, জাহিদুল ইসলাম, শাহ নেওয়াজ জ্যাকি, হাবিবুর রহমান রিপন, রেহান ও রনি মিয়াসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শাহনেওয়াজ জ্যাকি বলেন, ওই জমি আমার বাপ দাদার, আমাদের নামে সকল প্রকার দলিল পত্র রয়েছে। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা গাবতলী মডেল থানার এস আই ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, লিখত অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।