ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের (সরাইল-আশুগঞ্জ) স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন বলেন, কোন ষড়যন্ত্র, গুজব বা অপপ্রচারে কান দিবেন না। সকল প্রতিবন্ধকতা ছিন্ন করে আমাকে নির্বাচিত করূন। আমি একটি বারের জন্য আপনাদের কামলা হতে চাই। কামলা কাজ না করলে যেমন টাকা পায় না। আমি কাজ না করতে পারলে বিদায় করে দিবেন। সরাইল আশুগঞ্জকে আমি বদলে দিতে চাই। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইল সদরের শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত এক কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বারবার নির্যাতিত হয়েছি। স্বৈরাচার এরশাদের বিরূদ্ধে আন্দোলন করে গুলিবিদ্ধ হয়েছি। জীবনে কী পেলাম? কী পেলাম না। তার হিসাব করিনি। করবও না। এই দেশের উন্নয়নের অমর শিল্পী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ কখনো অমান্য করিনি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাচনে আমি বলির পাঠা হয়েছি। জিততে জিততে হেরে গেছি। কাউকে দায়ী করব না। সমগ্র দেশে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আ.লীগের এমপি না থাকায় উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে এই জনপদ। কবির ভাষায় বলতে ইচ্ছে করছে,‘কীর্তণখোলা নদীরে আমার, তুমি যেমন ছিলে তেমনই আছ।’ আপনারা আমাকে সুযোগ দিলে সরাইল আশুগঞ্জকে সন্তানের মত করে সাজাব। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলীর সভাপতিত্বে ও আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলীর সঞ্চালনায় কর্মিসভায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, সরাইল উপজেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন, সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আমিন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল হোসেন, মো. হোসেন মিয়া, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান।