জাতীয় সংসদের ৯৯ উপকুলীয় উপজেলা দাকোপ এবং বটিয়াঘাটাকে নিয়ে গঠিত খুলনা-১ আসন। আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসাবে খ্যাত ১৬ ইউনিয়ন এবং ১ পৌরসভা নিয়ে গঠিত আসনটি কাক্সিক্ষত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এবার ও আসনটিতে নৌকার গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার গল্লামারী হতে সুন্দরবন পর্যন্ত খুলনা-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮৯৮৩১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১৪৪৩৩৩ এবং মহিলা ভোটার ১৪৫৪৯৮ জন। নৌকার দূর্গ হিসাবে খ্যাত এই আসনে নানা কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি। অথচ ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা এই আসন থেকে বিজয়ী হয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচীত হন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে সাবেক সাংসদ ননী গোপাল মন্ডল ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগীতা নিয়ে ব্যাপক গনসংযোগ সভা সমাবেশ অব্যহত রেখেছেন। দলের কেউ এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী না হওয়ায় অসম প্রতিদ্বন্দিতায় নৌকার বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত। খুলনা-১ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দিতায় আছেন ৪ প্রার্থী। নৌকার বাইরে জাপা মনোনীত লাঙ্গল প্রতিকের কাজী হাসানুর রশিদকে প্রচারনার মাঠে দেখা যায়নি। তার কোন পোষ্টার লিফলেট ও নির্বাচনী এলাকায় চোখে পড়েনি। তৃনমুল বিএনপির এ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক মাঝে মধ্যে দু’টি উপজেলা সদরে ঝটিকা প্রচারনা করছেন। সে তুলনায় অনেকটা এগিয়ে আওয়ামী ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচীব (অবঃ) ড. প্রশান্ত রায়। নিশ্চিত বিজয় জেনে ও নৌকার প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল উৎসব মূখর প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়িয়ে নৌকার বিপুল বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের এই প্রচেষ্টা। নৌকার প্রার্থী ইতোমধ্যে দু’টি উপজেলার সকল ধর্মের মানুষের আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছেন। বাধ্যর্কের কারণে বর্তমান সাংসদের জনবিচ্ছিন্নতা এবং অতীতে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এলাকায় দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন করায় ননী গোপাল মন্ডলের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বি। তার প্রতিটি জনসভায় উৎসব মূখর জনতার ঢল নামছে। ননী গোপাল মন্ডল নির্বাচীত হলে অবহেলিত এই জনপদের যোগাযোগ, কৃষি এবং সম্ভবনাময় সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বলেছেন। একই সাথে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, শিপসা নদীতে নৌ বন্দর এবং পশুর নদী তীরের মোংলা বন্দরের সম্প্রসারনের কথা বলেছেন। নির্বাচনে নৌকার সাথে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. প্রশান্ত রায়ের ঈগল প্রতিকের প্রতিদ্বন্দিতা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ফলাফলে প্রভাব সৃষ্টি করার মত শক্ত প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে ওঠেনি। ড. প্রশান্ত রায় প্রচারনায় অতীতে সরকারী দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবহেলিত জনপদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।