রংপুরের পীরগঞ্জে এমপিওভুক্তির নির্দেপ্রাপ্ত ছাতুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর এবং রেজ্যুলেশন জালিয়াতি করে ৩ জনের এমপিওভুক্তির চেষ্টায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রংপুর অঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালককে এমপিও না করার জন্য ওই অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে,পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের ছাতুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। কিছুদিন আগে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে আরমান হোসেন মুকুল নামে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে মৌখিক দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা বা সভা না করেই ম্যানেজিং সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া রেজ্যুলেশনে রাতারাতি নিজেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাগজপত্র সৃজন করেন। পরে ওই কথিত প্রধান শিক্ষক গত ৭ অক্টোবরে বেতনভাতার জন্য বেনবেইজ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করেন। এরপর আবেদনটি রংপুর অঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের উপণ্ডপরিচালকের কাছে প্রেরন করা হয়। ঘটনাটি প্রকাশ হলে ওই বিদ্যালয়ের এমপিও আবেদন বঞ্চিত কর্মচারীরা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অপরদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফজাল হোসেন প্রধান শিক্ষকের ওই অপকর্মের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার জন্য রংপুর অঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের উপণ্ডপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গত ২৫ অক্টোবর, অভিযোগ করলে তা তদন্তের জন্য ২৫ অক্টোবরেই নির্দেশ দেন রংপুরের উপণ্ডপরিচালক। এরপর গত ২৬ নভেম্বরে এবং ২৬ ডিসেম্বর পৃথক অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিদ্যালয়টির কথিত প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন মুকুল বলেন,আমি যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাগজপত্র স্বাক্ষর করে এমপিওভুক্তির (ব্যানবেইজ) আবেদন করেছি। কেন ৩ জনের নামে ব্যানবেইজ প্রেরন করলেন তিনি এ প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি। পাশাপাশি এমপিও আবেদন বঞ্চিত কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলানোর ব্যাপারেও প্রধান শিক্ষক নিশ্চুপ ছিলেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যে দূর্নীতি করেছেন, তা অমার্জনীয় অপরাধ। কাগজপত্র জালিয়াতি করে তিনিসহ শুধু ৩ জনের নামে বেনবেইস প্রেরন করায় অপর শিক্ষক, কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমি সরেজমিনে ঘটনাটি তদন্তের জন্য অভিযোগ করেছি। উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি পেয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এখনও প্রতিবেদন পাইনি। তিনি আরও বলেন, এমপিও সংক্রান্ত কার্যক্রম আপাতত স্থগিত আছে।