কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জঙ্গল থেকে খাজু মিয়া (৫৫) নামে এক বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। শনিবার সকালে স্থানীয়রা উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের কালেম গ্রামের দিঘীর পাড়ের জঙ্গলে একটি গাছের ঢালে ওই বৃদ্ধের লাশ দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ১০/১২দিন পূর্বে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধ খাজু মিয়া পরিবারের লোকজন’সহ ঢাকায় বসবাস করতো, ২বছর পূর্বে একবার তিনি গ্রামের বাড়ীতে আসেন বলে জানান তার বড় ভাই মানিক মিয়া। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কালেম গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে খাজু মিয়া দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ ঢাকায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। গত ২বছর পূর্বে তিনি একবার বাড়িতে আসেন, এরপর থেকে তাকে কেউ গ্রামে দেখেনি। গত কয়েকদিন যাবৎ কালেম দিঘীর পাড়ের জঙ্গল থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকে। দুর্গন্ধ ক্রমশই বাড়তে থাকায় দিঘীর পাড়ের আশপাশের লোকজন শনিবার পাড়ের জঙ্গলে ঢুকে একটি গাছের সাথে নতুন রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধের লাশ, তার ও তার স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করে। ওই বৃদ্ধের লাশের পাশে একটি পলিথিন ব্যাগে কিছু খাবার ও কয়েকটি কমলা দেখতে পায় স্থানীয়রা। বৃদ্ধ খাজু মিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১০/১২দিন পূর্বে ঢাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রী অরুনা বেগমের সাথে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়ে যায় খাজু মিয়া। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজনের ধারণা ছিলো রাগ কমে গেলে তিনি বাসায় ফিরবেন। নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে খাজু মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি পারিবারিক কলহের জেরে ঢাকার বাসা থেকে ১০/১২দিন পূর্বে বেরিয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে, তবে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।