মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসন আওয়ামিলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শিল্পপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেছেন তৃণমূলের মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করেছেন। এই আসনের জনগণকে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতেই আমি এসেছি। মৌলভীবাজার ও রাজনগরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সভায় এসব কথা বলেছেন। তিনি রাজনগর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা শ্রমিকলীগ আয়োজনে নির্বাচনী সভা ছাড়াও কালারবাজার, পাঁচগাও, ফতেহপুর, উম্মরপুর, মাথিউড়া চা বাগান, করিমপুর চা বাগান, কামারচাক বাজার,তারাপাসা বাজার,কোনাগাঁও বাজার ও ইলাসপুর। মৌলভীবাজারের আখাইলকুড়া, কাজিরবাজার, বালিকান্দি বাজার, গুজারাই, ও চাঁদনীঘাট, গোবিন্দপুর বাজার,জগন্নাথপুর, মোস্তফাপুর ইউনিয়ন, কুসুমবাগ এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে গনসংযোজন, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রথম তিন মাসের মধ্যে একটি ‘মাস্টার প্লান’ হাতে নেয়ার। সে লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাব তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী মনোনীত করেছেন। তিনি বলেন, আমি উন্নয়ন করতে এসেছি, রাজনীতি করতে নয়। আমার একটা থিউরি আছে, জনগনে সেটা জানতে হবে, আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই থিউরি দিয়ে আমাকে পাঠিয়েছেন মৌলভীবাজারের উন্নয়ন করার জন্য। আমি মৌলভীবাজার রাজনগরবাসীর উন্নয়ন করতে চাই। উন্নয়নের জন্য আমার কাছে আসতে কাউকে ধরতে হবে না আমি নিজেই প্রতিটি ঘরে ঘরে যাবো মানুষের কথা শুনবো। মানুষের জন্য কাজ করা ছাড়া আমি কিছু বুঝি না। তিনি বলেন দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টের মানুষের আরোও চাহিদা রয়েছে এগুলি করা হবে,প্রতিটি ইউনিয়নে মডেল গ্ৰাম তৈরি করতে হবে প্রতিটি গ্ৰামে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জলাবদ্ধতার কষ্ট তেকে মানুষকে রেহাই দিতে রাজনগর বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে, বড় বড় বাজারকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে, লাইটিং করা হবে, রাজনগর বাজার ঘরকে দুইতলা ভবন নির্মাণ করে বাজারকে একটি আধুনিক হাটবাজারে রুপান্তর করা হবে। মৌলভীবাজারের সব উপজেলায় পৌরসভা রয়েছে রাজনগরে আদৌ পৌরসভা করা হয়নি ছয় মাসের মধ্যে রাজনগরে পৌরসভা করা হবে, সাগর দীঘি এলাকায় একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পোর্টিয়াস স্কুল মাঠে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে, রাজনগর ও মৌলভীবাজারের মানুষের সিলেটের সাথে যাতায়াত ব্যবস্থার সহজ ও সময় বাঁচানোর জন্য রাজনগর ও বালাগঞ্জের মধ্যেবর্তী স্থান খেয়াঘাটে কুশিয়ারা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হবে, রাজনগরের প্রতিটি বাসা বাড়ি ও আবাসিক এলাকাকে গ্যাসের আওতায় আনা হবে। রাজানগর মৌলভীবাজারের গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা পাঁকা করা হবে মৌলভীবাজার জেলা সদরে একটি মেডিকেল কলেজ, সকল মহা সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। মনু ও কুশিয়ারা নদীর দুই তীরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলা হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা একটি স্মার্ট এলাকা গড়ে তুলতে মাস্টার পরিকল্পনা গ্রহন করে কাজ করবো। তিনি আরোও বলেন আমি কাজিরবাজার সেতু করে দিব। আপ্তাব উদ্দিন স্কুলকে আমরা কলেজ করে দিব। মৌলভীবাজার শহরতলীতে উপযুক্ত স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মনু নদীতে আরেকটি সেতু নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন। একই সাথে চাঁদনীঘাটে আধুনিক বাস টার্মিনাল ও মৌলভীবাজার শহর বাইপাস সড়ক হয়ে রাজনগর পর্যন্ত চারলেন সড়ক নির্মাণের কথাও জানান। এরজন্য আপনারা আগামী ৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে এই মৌলভীবাজার-রাজনগর সংসদীয় আসনকে একটি স্মার্ট আসন উপহার দেয়া হবে। তাহলেই নেত্রী আমার আসনে বেশি বেশি বরাদ্দ দিবেন। বিভিন্ন সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদার, মসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্তী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মনসুরনগর ইউনিয়নের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান, টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাহেল হোসেনসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান চা শ্রমিক প্রসংগে বলেন নির্বাচিত হলে প্রতিমাসে একবার চা শ্রমিকদের নিয়ে বসবো। প্রতিটা বাগানের চা শ্রমিকদের নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা হবে।