রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বাগমারা উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের মাদারীগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক তার সমর্থকদের নিয়ে ওই এলাকায় প্রচারণা চালাতে যান। মাদারীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় নৌকা প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনি কার্যালয়ের পাশ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক গণসংযোগ করতে করতে সামনের দিকে এগুচ্ছিলেন। এসময় নৌকার নির্বাচনি কার্যালয়ের পাশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ‘নৌকা নৌকা’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। এতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক নিজে ক্ষেপে গিয়ে তার কর্মী-সমর্থকদের নৌকার সমর্থকদের ওপর চড়াও হওয়ার নির্দেশ দেন। এক পর্যায়ে এনামুলের লোকজন ধর ধর করে নৌকার কয়েকজনকে মারতে শুরু করে। পরে নৌকার সমর্থকরাও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের গায়ে হাত তোলে। উভয়পক্ষের ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও মারামারিতে দুইপক্ষেরই অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নামণ্ডপরিচয় কিংবা তারা কোনপক্ষের তা জানা সম্ভব হয়নি। সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর এনামুলের এপিএস আতাউর রহমানকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। যোগাযোগ করা হলে নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. আবুল আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল প্রচারণা চালানোর সময় তার নির্দেশেই মাদারীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত নৌকার নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। পরে আমার কর্মী-সমর্থকরাও হামলার প্রতিবাদ করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শুরু থেকেই এনামুল নির্বাচন বানচালের নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। এর অংশ হিসেবে তিনি একের পর এক অপকৌশল নিচ্ছেন। কিন্তু বাগমারার মানুষ এসব ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না।’ জানতে চাইলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘আজ মাদারীগঞ্জ বাজারে হাটের দিন। এমনিতেই ওই এলাকায় হাটের মানুষজন দিয়ে ভরা ছিল। হাটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারণা ছিল। হঠাৎ নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কোনপক্ষের কারা আহত হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে কী কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা জড়িয়ে পড়েছিল তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’