নিজের খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড় মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে মাংস বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মোহাম্মদ আলী খান। তিনি নড়াইল পৌর এলাকার ডুমুরতলার বাসিন্দা। তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ভিন্নরকম গল্প। মোহাম্মদ আলী খান বলেন, ২০১০ সালে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ শুরু করি। এরপর প্রতিবছর কোরবানির হাটে গরু বিক্রি করতাম। প্রায় পাঁচ বছর আগে ঢাকায় কোরবানির হাটে গিয়ে বেশ লোকসানে পড়ি। এরপর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে কোরবানির হাটে আর গরু বিক্রি করিনি। নিজের খামারে গরু বড় করে সেই মাংস ন্যায্যমূল্যে খুচরা এবং পাইকারি দরে ১৫টি হোটেলে বিক্রি করে আসছি। সেই থেকে গরুর মাংস বিক্রি করে আর লোকসানে পড়তে হয়নি। তিন ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে সুখেই আছি। অথচ একসময় নিদারুণ কষ্টে দিন কেটেছে। তিনি বলেন, ২০১০ সালে যখন গরুর খামার শুরু করি, তখন ব্র্যাক থেকে প্রথমবার আমাকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছিল। প্রথমে দু’টি গরু কিনে মোটাতাজাকরণ শুরু করি। সেই দু’টি গরু বিক্রি করে লাভবান হই। পরবর্তীতে আরো ঋণ নিয়ে গরুর সংখ্যা বাড়াই। একসময় খামারে গরুর সংখ্যা হয় ৪০টি। নিয়মিত গরু লালন-পালন করে যাচ্ছি। মাংস ক্রেতারা বলেন, মোহাম্মদ আলী খানের গরুর খামার থেকে সরবরাহকৃত মাংসের বেশ সুনাম রয়েছে। তিনি ভালো মাংস দেয়ার চেষ্টা করেন।