নীলফামারীর সৈয়দপুরে দোকান ও গোডাউন ঘর ভাড়ায় নিয়ে তা না ছাড়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়ে দোকান মালিক এনামুল হক গং সৈয়দপুর পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন। দোকান মালিক আবদুল কাদের,এনামুল হক,আমিনুল হক,জামাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন ৫ ভাই। তারা জানান, আমরা সবাই ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারণে আমরা বেশীর ভাগ সময় ঢাকাডহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকতে হয়। আর এ সুযোগে আমার বিমাতা মা মোছাঃ জমিলা বেগম প্রতারণামুলকভাবে আমাদের দোকান ও গোডাউন ঘর অন্যের কাছে ভাড়া দেয়। সাথে প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে জামানত হিসাবে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। দোকান ঘরগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন তাই আমরা সৈয়দপুরে এসে যখন বিষয়টি জানতে পারি তখন প্রত্যেক ভাড়াটিয়াকে প্রথমে মৌখিকভাবে দোকান ছাড়ার কথা জানিয়ে দেই। তারা তখন আমাদের কাছে সময় চেয়ে নেন। এরপর প্রায় দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায় কিন্তু ভাড়াটিয়া দোকান ঘর ছাড়তে তালবাহানা শুরু করে। এরইমধ্যে প্রত্যেক ভাড়াটিয়াকে উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়। তারপরও ভাড়াটিয়া দোকান ঘর ছাড়ছেন না। এদিকে ভাড়াটিয়া ওয়াকিল,শাকিল,হাফিজ,ইমাম রেজা ও আনিস বলেন,আমরা জমিলা বেগম নামে এক মহিলার কাছ থেকে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছি। বর্তমানে জানতে পারি ওই দোকান ঘরের মালিক অন্যজন। এ অবস্থায় আমরা কাকে ভাড়া দেব। তাছাড়া আমাদের জামানত রয়েছে লাখ লাখ টাকা। যার কাছ থেকে আমরা ভাড়া নিয়েছি তিনিও এ ব্যাপারে কোন কথা বলছেন না। আমরা কারো সাথে ঝগড়া করতে চাই না। অপরপাশে আরেক ভাড়াটিয়া জানান, যেহেতু দোকান ঘরের মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছে তখন নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাউকে ভাড়া দেব না। তার সাথে দোকান থেকেও বের হবো না। এ ব্যাপারে জমিলা বেগমের সাথে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিপ না করায় মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। ১ জানুয়ারি দোকান মালিক এনামুল হক বলেন,বর্তমানে দোকান ঘরগুলো সংস্কার করা খুবই দরকার। ভাড়াটিয়ারা ছেড়ে না দেয়ায় আমরা কোন কাজ করতে পারছি না।