রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন জমে উঠেছে। পুরো উপজেলায় অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। স্ব-স্ব প্রার্থীর নেতাকর্মীরাও দলীয় নির্দেশনা মেনে ভোটের মাঠে তৃণমুল পর্যায়ে প্রচারনার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় ব্যানার, ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে। প্রতিদিন বেলা ২ টার পর থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় মাইকগুলো বের হচ্ছে। মাইকের শব্দে কান ঝালাপালা। এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যায়ন। কোন দলের নেতাকর্মীকে অন্য কোন দলের বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী, সমর্থকরা হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেনি বলে জানা। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে উঠেছে। গ্রামগঞ্জে পাড়া মহল্লায় ভোটের আমেজ বইছে। উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণার ধরন চোখে পড়ার মতো। নৌকার ঘাঁটি কুমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। দলীয় নির্বাচনী কৌশলের পাশাপাশি তিনি নিজস্ব নির্বাচনী কৌশলও গ্রহণ করেছেন। তাঁর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনকালীন সময়ের নিজস্ব নেতাকর্মীদের নির্বাচনের মাঠে গণসংযোগে নামিয়েছেন। চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন,জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি পরপর দু’বার সাংসদ থাকায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। এবারও তাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আমি দুই স্তরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে কর্মীরাও মুল্যায়িত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,আচরন বিধি মেনে প্রতিদিন উঠান বৈঠক,পথসভা, কর্মী বৈঠক করছি। আমাদের ইউনিয়নে বর্তমান এমপি ড শিরীন শারমিন চৌধুরী ব্যাপক উন্নয়ন করায় নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে মনে করি। কারণ গত ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছি। সেই ভোটগুলোসহ নতুন ভোটারদেরকে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশ স্বাধীনের পর থেকেই কুমেদপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। সে কারণেই বিজয় আমাদের দ্বারপ্রান্তে বলে মনে করি।