বিদায়ি বছরটা দেশের ফুটবলের জন্য আশাজাগানিয়া। ১৪ বছর পর জামাল ভুঁইয়ারা খেলেছেন সাফের সেমিফাইনালে। সঙ্গে যোগ হয়েছে বড় দলের সঙ্গে লড়াইয়ের মানসিকতা। এগিয়েছে র্যাাংকিংয়েও। বছরজুড়েই জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিল আলোচনায়। তাতে নতুন বছরেও ফুটবল নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে ২০২৩ সাল শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ২০২৪ এর শুরুটাও হচ্ছে বৈশ্বিক আসরের সেই বাছাই দিয়েই। মার্চে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ঘরে-বাইরে দুটি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজের দল। এরপর জুনে ঘরে অস্ট্রেলিয়া ও বাইরে খেলবে লেবাননের বিপক্ষে। গত নভেম্বরে এই লেবাননকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। নতুন বছরেও খেলার মান একই পর্যায়ে রাখতে চান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, ‘দারুণ একটা বছর কাটিয়েছি আমরা। ছেলেদের পারফরম্যান্স গর্ব করার মতো। নতুন বছর আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের। কিছু কঠিন ম্যাচ আছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন, লেবাননের মতো দলের বিপক্ষে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যে পর্যায়ের ফুটবল খেলছি সেটা ধরে রাখা। ’নতুন বছরে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ চান জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা। ২০২২ সালে সাফ জেতার পর ২০২৩-এ এশিয়ান গেমসের তিন ম্যাচ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন মাত্র চারটি। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি ছিল মেয়েদের। কিন্তু সেই ব্যবস্থা করতে পারেনি বাফুফে। ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকারের চাওয়া বেশি বেশি ম্যাচ খেলা, ‘বড় বা সমমানের দলের বিপক্ষে খেলতে পারলে নিজেদের মান কেমন সেটা যাচাই করা যায়। শেষ হওয়া বছরে আমরা খুব বেশি খেলতে পারিনি। নতুন বছরে বেশি ম্যাচ চাই আমরা।’ ছেলেদের ফুটবলের বাইরে উজ্জ্বল নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন অ্যাথলেটিকসের ইমরানুর রহমান। এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে ৬০ মিটারে জিতেছিলেন সোনা। নতুন বছরেও খেলবেন এই টুর্নামেন্টে। এ ছাড়া বিশ্ব ইনডোর ও বিশ্ব অ্যাথলেটিকসেও খেলবেন তিনি। গতবারের মতো এবারও সাফল্য এনে দিতে চান ইমরান, ‘আমার লক্ষ্য সব সময় উঁচুতে থাকে। এ বছর কয়েকটি টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছি। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে নতুন বছরে দেশকে আরো সাফল্য এনে দিতে চাই।’ বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৩০তম স্থানে থেকে বছর শেষ করেছে জাতীয় হকি দল। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মাঠে নেই হকি লিগ। এশিয়াডে জাতীয় দল হয়েছে অষ্টম। নতুন বছরে হকি নিয়মিত মাঠে থাকুক এমন চাওয়া অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির, ‘হকি নিয়ে সবার প্রত্যাশা সব সময় বেশি ছিল। আগে প্রত্যাশা পূরণ করা গেলেও এখন সম্ভব হচ্ছে না। লিগ নেই অনেক দিন। মাঝে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হলো, আমরা আশাবাদী হলাম, কিন্তু সেটাও আর মাঠে গড়াল না। আমরা চাই, হকি নিয়মিত মাঠে থাকুক। তাহলে জাতীয় দলও ভালো করবে।’ আর্চারিতে গত বছরে তেমন সাফল্য আসেনি। এ বছর এশিয়া কাপের পাশাপাশি আছে অলিম্পিক বাছাই। নতুন বছরে সাফল্যের আশা আর্চার হাকিম আহমেদের, ‘আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি, অবশ্যই অবস্থার পরিবর্তন হবে।’