বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধরের মামলায় সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর র্যাব-১২ বগুড়া দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সাহদারা মান্নানের ভাই মিনহাদুজ্জামন লিটন (৫৩), মৃত আবদুল লতিফ প্রাং এর পুত্র লিমন (৩২), আব্দুল্লাহিল বাকী ওরফে দুলু পুত্র রায়হান (২৮), রানা (২৬), রাজন (৩৫), নিপুণ (২৮) সবাই সোনাতলা উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন জানান, গত (৩১ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১২.১৫ সময় বগুড়া-১ (সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল পাখি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল এর রেজওয়ানুল হক রেজভী নামের একজন সমর্থক নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে সোনাতলা উপজেলাধীন ভেলুরপাড়া চারমাথা মোড়ে পৌঁছলে নৌকা মার্কার প্রার্থী সাহাদারা মান্নান এর সমর্থকগণ বেআইনী জনতাবদ্ধ ও দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রিজভীকে পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরের স্থানীয়রা আহত রিজভীকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আহত রিজভীর স্ত্রী বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। আহত রিজভীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে ঘটনাটি বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে গোয়েন্দার নিখুঁত তথ্যের উপর ভিত্তি (২ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সোয়া বারোটায় র্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইং এর সহযোগিতায় র্যাব-১২ বগুড়া ও সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলার সায়দাবাদ এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোনাতলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।