গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় চন্দ্রিকা জ্ঞান পাঠাগারের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমরিয়া গ্রামের চন্দ্রিকা জ্ঞান পাঠাগার চত্ত্বরে আলোচনা সভা ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে পাঠাগারটির দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। চন্দ্রিকা জ্ঞান পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুনীল কুমার গাঙ্গুলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিজন বিশ^াস। এছাড়াও আলোচনা সভায় শিক্ষক চিত্তরঞ্জন দাস, সমাজসেবক নিখিল হালদার, অমৃত বাড়ৈ, শিক্ষার্থী মৌ বাড়ৈ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে দশ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। কলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিজন বিশ^াস বলেন, সুনীল কুমার গাঙ্গুলী একজন জ্ঞানের ফেরীওয়ালা। তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। অবসরে এসে নিজ অর্থায়নে উপজেলার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে চন্দ্রিকা জ্ঞান পাঠাগার নামে একটি পাঠাগার তৈরী করেন। তার এই পাঠাগারটি একটু ব্যতিক্রম। এখানে পাঠকদের এসে বই পড়তে হয় না। সুনীল কুমার গাঙ্গুলী নিজে পাঠকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পছন্দমত বই পৌছে দেন। পাঠকদের বই পড়া শেষে তিনি আবার নতুন বই দিয়ে পুরনো বইটি নিয়ে আসেন। তার এই কার্যক্রমের জন্য তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। সুনীল কুমার গাঙ্গুলী বলেন, ছাত্রজীবনে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরে বিভিন্ন বই পড়ার খুব ইচ্ছে ছিল। অর্থনৈতিক কারণে বই কিনে পড়তে পারিনি। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল আমি একটি পাঠাগার গড়ে তুলবো। কর্মজীবনে ব্যস্ততা থাকার কারণে পাঠাগারটি গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। তাই অবসরে এসে এই পাঠাগারটি গড়ে তুলেছি। আমার স্বপ্ন আমার মৃত্যুর পরেও যেন এই পাঠাগারটি বেঁচে থাকে।