ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী শেষের দিকে এসে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারনা। এ আসনে চারজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে মাত্র দু’জন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন-আ’লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের কাজী জাফর উল্যাহ ও ঈগল প্রতীকধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। নির্বাচনের শেষের দিকে এসে প্রচার প্রচারনায় মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই দুই প্রার্থীর সমর্থক নেতাকর্মীরা। উপজেলার প্রতিটি হাটে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা একে একে মিছিলে সরগরম করে তোলছে নির্বাচনী মাঠ। আর মিছিলগুলোর জনসমর্থনের দিকে তাকিয়ে থাকেন উৎসুক জনতা। মিছিল দেখে সাধারনরা ওজন করে নেন কার সমর্থন বেশী নৌকা নাকি ঈগলের। জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার চারটি ইউনিয়ন জুড়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গ্রাম গঞ্জের আনাচে কানাচে নেমে পড়ছেন ভোট ভিক্ষায়। তৃণমূলের কর্মীরা বাড়ী বাড়ী ঘুরে চকলেট, কলম, গুল ও নিজ প্রার্থীর লিফলেট বিতরন করে ভোট চেয়ে চলেছেন। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও রাস্তা ঘাট ঘেষে চায়ের দোকানে ভোটারদের মুখে শোনা যাচ্ছে শুধুমাত্র নির্বাচনী আলোচনা। সবার মুখে এখন শুধু একটি প্রশ্ন কে হবেন এমপি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্যাহ নাকি পর পর দু’দফায় নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এ প্রশ্নের জবাবে উপজেলার প্রত্যেকটি চায়ের দোকান, ক্লাব, সমিতির অফিস ও রাস্তা ঘাটের আড্ডাস্থলগুলো চাঙ্গা হয়ে আছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, স্বাধীনতা পরবর্তি সবগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে আ.লীগ এককভাবে জয়লাভ করে আসছিল। কিন্তু বিগত ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পর পর দুইবার এ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এ বছর ঈগল প্রতীকধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরী হেট্রিক করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে জয়লাভের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ আ.লীগের হারানো আসন ফিরিয়ে আনার নেশায় আদানুন খেয়ে নেমেছেন নির্বাচনী মাঠে। ফলে উভয় দলের সমর্থকরা নিজেদের পাল্লা ভারী করতে রাতদিন মাঠ চোষে বেড়াচ্ছেন। এতে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় ভারী হয়ে ওঠেছে উপজেলার আকাশ বাতাস। উপজেলার নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠায় উৎফুল্লতা প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। বুধবার বিকেলে সাধারন ভোটার কৃষ্ণ সরকার (৫৫) বলেন, “নির্বাচন আইছে বইল্যা আমাগো দাম বাড়ছে। নেতাকর্মী ও মাতবাররা এহন আর বাড়ী ছাড়ে না। ভোটটা আর কারো কথায় দিমু না, এহন আমরা বুইঝ্যা হুইনা ভোট দিমু”।