আজ বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ কার্যদিবস। আগামীকাল শুক্রবার (সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ নির্বাচনের পর আগামী সোমবার খুলবে জেলা আদালত।
এ অবস্থায় ব্যস্ততা বাড়ছে রাজধানীবাসীর। অফিসের কাজ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে নিতে সকাল থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ। পাশাপাশি সড়কেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও তেমন যানজট দেখা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মহাখালী, বনানী এলাকা ঘুরে সড়কের এমন চিত্র দেখা গেছে।
তবে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, তিনদিনের ছুটিতে অনেকেই আজ বিকেলে ঢাকা থেকে গ্রামে বা বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ফলে বিকেলে ঢাকায় তীব্র যানজট হতে পারে।
এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর মহাখালী, বনানী এলাকায় প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা যায়। তবে গুলশান-১ ও গুলশান-২ এবং রামপুরা রোডে যানবাহনের কিছুটা চাপ দেখা যায়। বিশেষ করে নতুন বাজার থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কে থেমে যান চলাচল করতে দেখা যায়।
সাভার থেকে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে বাড্ডা যাচ্ছিলেন মনোয়ার হোসেন। মহাখালীতে বাসে কথা হয় তার সঙ্গে। মনোয়ার জাগো নিউজকে বলেন, আজ থেকে তিনদিনের সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। ভাবছিলাম সড়কে যানজট থাকবে। কিন্তু সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। সাভার থেকে এক ঘণ্টায় মহাখালী চলে আসছি।
একই রুটে চলাচল করে রবরব পরিবহন। এ পরিবহনের চালক নয়ন মোল্লা বলেন, সাধারণত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সকাল থেকে সড়কে যানজট থাকে। কিন্তু আজ ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। তবে দুপুরের পর থেকে সড়কে যাত্রীচাপ বেড়ে বিকেলে যানজট সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে সকালেও তেজগাঁও, বিজয় সরণি সিগনালে যানবাহনের চাপ বেশি দেখা যায়। ৮-১০ মিনিট পরপর একেকটি সিগনাল ছাড়ছে। তবে গুগল ম্যাপে বিজয় সরণি থেকে কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত কোনো যানজট দেখা যায়নি। নিউমার্কেট থেকে শ্যামলী পর্যন্ত মিরপুর রোডে যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।