আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রচার প্রচারণার বাকি আছে মাত্র মাত্র এক দিন। এরইমধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলেছেন সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। হাটে-বাজারে, পথে-ঘাটে, চায়ের দোকানে, হোটেল-রেস্তরাসহ সর্বত্রই চলছে নির্বাচনী হিসাব নিকাশ। কে হচ্ছেন খুলনা-৪ আসনের আগামী পাঁচ বছরের রাজনৈতিক অভিভাবক। সাধারণ ভোটাররা আশা আকাক্সক্ষা নিয়ে হিসাব নিকাশ, মতবিনিময়, চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। কোন প্রার্থী মানুষের কাছে পৌঁছাবে। তৃণমূলের নেত-কর্মীদের সাথে সেতু বন্ধন রচনা করে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এস এম মোস্তাফা রশিদী সুজার দেখানো আদর্শ অনুসরণে তার দেখানো পথে সংগঠনকে এগিয়ে নেবে। যেমনি প্রয়াত এ নেতা আওয়ামী লীগ নামক এ সংগঠনটিকে খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-তেরোখাদা-দিঘলিয়া উপজেলা) মূল থেকে শীর্ষে পৌঁছিয়েছিলেন, তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এ আসনে এগিয়ে এসেছেন তারই ছোট ভাই এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা। তাই দিঘলিয়ার তৃণমৃলের নেতা কর্মীরা প্রয়াত নেতা মরহুম ভাইজানের অসমাপ্ত কাজগুলোকে এগিয়ে নিতে তার হাতে গড়া অবহেলিত ও বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে ভোটের মাঠে নেমেছেন এ নেতা। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ভাবতে শুরু করেছে কোন প্রার্থীকে মূল্যবান ভোটটি দিলে আগামী ৫ বৎসর কর্মীদের মূল্যায়ন করবে, এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে এলাকার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখবে। খুলনা জেলার তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে খুলনা-৪ আসন। এ আসনে প্রার্থীর সংখ্যা মোট ১২ জন। এদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুস সালাম মূর্শেদী (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশীদি দারা (কেটলি)। তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলা ঘুরে কয়েকজন প্রার্থী, সমর্থক, কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ভোটাররা এবারের নির্বাচনে তাদের প্রয়াত নেতা এস এম মোস্তাফা রশিদী সুজা এর ছোট ভাই এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারাকে ভোট দিয়ে তাকেই তাদের বিজয়ের মালা পরাবেন। সকল প্রার্থীই বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কর্মী সমর্থকরা স্ব-স্ব প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইলেও বিজয়ের ব্যাপারে দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি বলে জানান। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুস সালাম মূর্শেদী সম্পর্কে বলেন, তিনি গত নির্বাচনে অংশ নিয়ে বলেছিলেন, সাবেক জাতীয় সংসদের হুইপ খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কর্মীবান্ধব প্রায়ত নেতা এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ভাইয়ের হাতে গড়া কর্মীদের মূল্যায়ন ও সুজা ভাইয়ের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত উন্নয়নের ধারা আমি সালাম মুর্শেদী অব্যাহত রাখবো। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। হাতে গোনা কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মূল্যায়ন করেছেন এবং তারাই শুধু লাভবান হয়েছে। পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাংগঠনিক ইমেজ নষ্ট হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অপরদিকে এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা কেটলি প্রতীক নিয়ে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন, খুলনা ৪ আসনে প্রয়াত নেতা সুজা ভাইয়ের আপন ভাই এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা। তার পক্ষে ভোট ও দোয়া চাইছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের বৃহত্তর অংশ। সাধারণ ভোটারদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে কেটলি প্রতীকের পক্ষে। এখন অপেক্ষার পালা আগামী ৭ই জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন পর্যন্ত। সর্বমহলের অভিমত আবদুস সালাম মূর্শেদীর ভোট ব্যাংকে শক্তভাবে আঘাত হেনেছে কেটলি প্রতীকের সমর্থকেরা। বিজয়ের সূর বেজে উঠেছে কেটলী প্রতীকের ভোটারদের ঘরে ঘরে।