খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের আড়ুয়া উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে অবাঞ্চিতভাবে ঢুকে ৩ ছাত্রকে ধারালো ছুরি উঁচিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও হুমকি ধামকি দিয়ে ভয় প্রদর্শন ও তাদের জোর পূর্বক ধরে আড়ুয়া ঘাটে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন এবং আকাশ নামক ছাত্রের হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-অভিভাবক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী মাসুম ও পুলকের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে তাৎক্ষণিক সাংবাদিক সন্মেলন করেছে। স্থানীয় প্রশাসন এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত মাসুম একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ। সে দীর্ঘদিন যাবত আড়ুয়া খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে নানা অনিয়ম ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে রাধামাধবপুর গ্রামে শুধু নয় গোটা আড়ুয়া এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দুপুরে সন্ত্রাসী মাসুম তার অপর সহযোগী পুলককে সাথে নিয়ে আড়ুয়া উদয়ন বিদ্যাপীঠে অবাঞ্চিতভাবে ঢুকে চার ছাত্রকে স্কুল চলাকালীন জোর পূর্বক ধরে নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০ম শ্রেণির ৩ ছাত্রকে আড়ুয়া ঘাটে নিয়ে বেধড়ক মারপীট করে। আকাশ নামক এক ছাত্রের হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। বিজ্ঞমহলের জিজ্ঞাসা কে এই মাসুম? মাসুমের খুঁটির জোর কোথায়? উল্লেখ্য মাধবপুর গ্রামের বিল্লাল মোল্লার পুত্র মাসুম হিন্দু অধ্যাসিত এ জনপদের ত্রাস। তার বিরুদ্ধে এ এলাকার নানা অনিয়ম ও অত্যাচারের কথা মানুষের মুখে মুখে। মহামারি করোনাকালীন আড়ুয়া ঘাটের ইজারাদার হিসেবে কর্মহীন পারাপার যাত্রীদের সাথে নানা অনিয়ম অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসন মৌখিক সতর্ক করেও তাকে নিবৃত করতে পারেনি। সে এতটায় বেপরোয়া যে তাকে স্থানীয় প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করেও নিয়মের শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব হয়নি। তার ইজারা বাতিল করে খাস কালেকশনে আনা হয় আড়ুয়া ঘাটের ব্যবস্থাপনা। পরবর্তীকালে নানা কুট কৌশলে পূণরায় আড়ুয়া ঘাটের ইজারাদার নিয়ে পূর্বের ন্যায় বাড়তি হারে টোল আদায় শুরু করেছে। এদিকে মাসুম ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা এলাকায় অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে। কেউ কেউ বলছেন এ ঘটনা এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এলাকাবাসী মাসুম ও পুলকের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।