খুলনার পাইকগাছায় চাঁদখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুনছুর গাজীর বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেছে কলেজছাত্রী সাথী খাতুন। গত মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চক-বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. গফুর শেখের মেয়ে কলেজ পড়-য়া সাথী খাতুন বলেন, জমি বিরোধ নিয়ে চাঁদখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মুনছুর গাজীর নেতৃত্বে ২৮ ডিসেম্ব বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই টার দিকে ২০/২৫ লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর ভাংচুর সহ লুটপাট শুরু করে। এসময়ে সে বাঁধা দিতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেয় এবং মারধর করে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কোপ দিলে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাঠিতে পড়ে যায়। তারা উড়না ও রশি দিয়ে খুটির সাথে বেধে রাখে। এসময়ে তার ডাক চিৎকারে পিতা গফুর শেখ পাশ থেকে এসে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করে পাশের বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখে। সাথী খাতুন আরো উল্লেখ করেন, মুনছুর গাজীর লোকজন আমাদের বেধে রেখে বাড়ির মালামাল সহ তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, আংটি ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয় এবং ঘরে আলমারি ভেঙ্গে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার দলিল পত্র নিয়ে যায়। এছাড়াও বাড়ি তৈরি করার জন্য রাখা ৫/৬ হাজার ইট টলিতে করে নিয়ে যায়। মুনছুর গাজীর লোকজন তাদের বাড়ি ঘিরে রাখে বাহিরের কেউ যাতে সাহায্য করতে না পারে। এমতাবস্থায় সন্ধ্যায় আমার পিতাকে বাঁধা অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে ও ৬ টার দিকে আমাদেরকে ছেড়ে দেয়। এরপর আমি থানায় এসে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে, তাহারা অভিযোগ দিতে বলেন। পরের দিন শুক্রবার থানায় এজাহার করা হয়। ওই এজাহারে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো অনেকে রয়েছে। ২ জন আসামি ইতোমধ্যে আটক হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সাথী খাতুন আরো উল্লেখ করেন, অভিযোগে নাম থাকলেও মূল আসামি মুনছুর গাজী মামলার এজাহার ভুক্ত করা হয়নি। এখন মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে দিন পার করছে। যে কোন সময় মুনছুর গাজী আবারও হামলা করতে পারে। মামলার মূল আসামি মুনসুর গাজী কে মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।