আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত হোমনার জনসভায় সেলিমা আহমাদ এমপি সমাজের অবহেলিত নারীদের প্রাধান্য দিয়ে বলেছেন, আমাদের মা-বোনেরা যেন ঘরে বসে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা আয় করতে পারে সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আমাদের ভাইয়েরা কেউ বেকার থাকবে না। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এখানে অর্থণৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হোমনা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পৌর মেয়র অ্যাড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভা অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু সালেহ মোহাম্মদ গোলাম আম্বিয়া সোহেল, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমাদ, মেঘনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন সিকদার, হোমনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহাসীন সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রীনা, যুব লীগ সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. কায়সার বেপারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর ইসলাম মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফারুক, ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সরকার, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মিরাজ প্রমুখ। সঞ্চলানায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খন্দকার। জনসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে সেলিমা আহমাদ বলেন, দল আপনাকে মনোনয়ন দেয়নি কেন? আপনারা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগ দাবি করেন, লগি বৈঠার লোক দাবি করেন। তাহলে পোস্টারে লগি বৈঠার ছবি কোথায়? এখনও দুই দিন সময় আছে যদি পারেন এর ছবি লাগান। এই প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের লাগানোর অনুমনিত দেননি। উপস্তিত জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- ২০১৮ সালে নৈাকার মনোনয়ন পেয়ে আপনাদের ভোটে, আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসায় আমি এমপি হয়েছি। নৌকা হলো- স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা হলো মুক্তিযুদ্ধ এবং হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধার প্রতীক, বাংলা মায়ের প্রতীক, হোমনা-মেঘনার জনগণের ভালোবাসার প্রতীক। সেলিমা আহমাদ এমপি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, শিক্ষা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। এবারও আপনাদের ভালোবাসা পেলে, এমপি হতে পারলে যেখানে স্কুল, কলেজ নাই সেখানে স্কুল কলেজ করা হবে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে যত খাস জমি আছে সেগুলো উদ্ধার করে সেখানে খেলার মাঠ গড়ে তুলবো।