আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫ টি আসনের মধ্যে ৩ টিতেই আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ ও একটিতে আওয়ামী লীগ বনাম জাতীয় পার্টিম মধ্যে লড়াই হবে। একমাত্র সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এখন পর্যন্ত পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। তবে হাওরে কৌকাডুবির আশঙ্কা করছেন ভোটাররা। তবে শুধু মাত্র সুনামগঞ্জ-২ দিরাই-শাল্লা আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার সম্মানে ড. জয়া সেনগুপ্তা কে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। কিন্তু সুনামগঞ্জ-১ আসনে রতন এবং সেলিম, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম চৌধুরীকে মনোনয়ন প্রত্যহারের আবেদন জানানো হয়নি বলে দাবি করছেন অনেক আওয়ামী লীগ নেতা।
বিএনপি ভোট বর্জন করায় কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম হবে ফলে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগিম মধ্য দিয়ে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হবে।
সকল প্রার্থীরাই নির্বাচনী মাঠে নিজেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের দাবী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে একটি অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কেউ আওয়ামী লীগ মনোনীত কেউ ডামি প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছিন। যিনি বিজয়ী হবেন তিনিই প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলদিয়ে সে আসনের বিজয় উপহার দেবেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে সর্বশেষ লড়াই হবে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম আহমদ এর মধ্যে শেষ লড়াই হবে। তবে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর পক্ষে আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ রেজাউল করিম শামীম ও নারী সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার এর নেতৃত্বে চারটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণন সম্পাদকরা কাজ করে যাচ্ছেন রতনের জন্য।
সুনামগঞ্জ-২ দিরাই-শাল্লা আসনে ভোট যুদ্ধ হবে বর্মান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তার কাঁচি ও শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন চৌধুরীর নৌকার মধ্যে। তবে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সচিব মিজানুর রহমান মূল প্রতিদ্বন্দ্বতায় আসতে পারেন নি। দু উপজেলার আওয়ামী লীগের পদধারি নেতারা রয়েছেন জয়া সেনের পক্ষে। ভোটাররা মনে করছেন সুষ্ঠু ভোট হবে জয়া সেন বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। কারণ এ আসনে কোন রাজনৈতিক দলের ভোট ব্যাংক নেই। প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ভোট ব্যাংক রয়েছে এ আসনে। যেহেতু বিএনপি ভোট বর্জন করবে সে হিসেবে জয়া সেনে ভোটের পাল্লা ভারী।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। কারণ এ আসনে শাহীনুর পাশা চৌধুরীকে তার দল এবং জোট থেকে বাহির করে এনে কিংস পার্টি থেকে মনোনয়ন দেওয়ার মধ্যদিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ভোটাররা মনে করেন শাহীনুর পাশার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ভোটযুদ্ধ হবে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক এর মধ্যে। তবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে কিছু ভোট পেতে পারেন।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীর মধ্যে ভোট যুদ্ধ হবে। তবে ভোটাররা মনে করছেন মানিকের বিজয় সুনিশ্চিত।