জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মির্জা আজমের ভাগ্য নির্ণয়ের বছর এবার। নির্বাচনী মাঠে কাঙ্খিত প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় নেতা-কর্মীদের মাঝেও উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হচ্ছে। শেষপর্যন্ত মির্জা আজম কি জয়ের পথে এগুচ্ছেন? নৌকার প্রার্থী হিসেবে নিজের নির্বাচনী মাঠসহ সদর আসন এবং জেলার অন্যান্য আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ের তোড়জোড় করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। জামালপুর সদর আসন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী মাঠেও থাকছেন।
মির্জা আজম ১৯৯১ সাল থেকে এমপি’র উন্নয়নে অবদান ভোটারদের মাঝে আলোচনায় আসছে। কাঙ্খিত প্রতিদ্ধন্ধি না থাকায় জয়ের মালা এবারও মির্জা আজমের গলায় ওঠার সম্ভাবনার কথা সবার মুখে মুখে।
৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন একমাত্র নৌকার প্রার্থী মির্জা আজম। জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত লাঙ্গল প্রতিকের মীর শামসুল আলম লিপটনের শুধু পোস্টার আছে। মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা নাই। ভোটারদের কাছেও অপরিচিত। অপরদিকে জাতীয় পাটি (জেপি)’ মনোনীত বাইসাইকেল প্রতিকের সৈয়দ নজরুল ইসলামের পোস্টার-প্রচারণাও নেই। তিনিও ভোটারদের মাঝে অপরিচিতিই থাকছেন। প্রার্থীদ্বয়ের পরিচিতি না থাকার সুযোগটি মির্জা আজমের জন্য সুবর্ণ সুযোগটি যাদুর কাঠির ন্যায় ধরা দিয়েছে। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে ভোটার উপস্থিতির শংকা এবং পর্দার আড়ালের ভোট বিপ্লবের ভয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন আ.লীগ প্রার্থী এবং তার কর্মীবাহিনী।
ভোট উৎসবের সংশয়, ব্যালটের গোপন বিপ্লবের ভয় এবং বিএনপি’র নির্বাচন বয়কটের প্রচারপত্র বিলির বিষয়টি হাটে-ঘাটে-চায়ের আড্ডায় আলোচিত হচ্ছে। উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নূরুল আলম সিদ্দিকী জানান-ডামি নির্বাচনের উদ্দেশ্য-গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমাদের প্রচারপত্রের প্রভাব পড়বে। জাপার প্রার্থী লিপটনের নির্বাচনী মুখপাত্র মিজানুর রহমান জানান-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা নির্বাচনী মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই।
আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান জুয়েল জানান-ভোট কেন্দ্রে যেতে এবং নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সচেতনা করছি। মেলান্দহ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিন্নাহ জানান-প্রার্থীরা নিজে থেকে সক্রিয় না থাকা তাদের নিজস্ব বিষয়। আমাদের নেতা-কর্মীর স্বজনসহ সাধারণ ভোটাররাও এবার ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত হবে। এবারও মির্জা আজম জয়ী হবেন।