দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন। আবারো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে অবধারিত। আপনারা কি ক্ষমতার অংশীদার হতে চান? আমরা কি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবো? নৌকায় ভোট দেন, আপনিও উন্নয়নের অংশীদার হোন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছেন। তিনি আমার জন্য ভোট চেয়ে বলেছেন, ‘আমি যাকে নৌকা দিয়েছি তাকে ভোট দিবেন’। বৃহস্পতিবার কটিয়াদী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নির্বাচনী শেষ জনসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বহু উদাহরণ আছে নৌকা থেকে নেমে ছাই হয়েছেন। কাজেই নৌকা থেকে নেমে যাবেন না। এখনো সময় আছে ফিরে আসেন। ভবিষ্যত ভালো হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন নেতার কুরুচিপূর্ন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, যুদ্ধ করেছি, ট্রেনিং নিয়েছি, পুলিশের চাকরি করেছি, ট্রেনিং নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলাসহ বহু মামলার বিচার করেছি। বড় বড় লোক আমার হাত দিয়ে বিচারের সম্মুখিন হয়েছে। মনোনয়নের আগে আমার মঞ্চ ভেঙ্গেছেন। আমার মনোনয়ন ঠেকাতে পারেন নাই। কাহার সাবকে ছোট করে পাশ করে যাবেন? আশাকরি আল্লাহ আপনাকে সে সুযোগটুকু দিবেন না। কাহার সাব এদেশে উড়ে এসে জুড়ে বসে নাই। কাজেই কথা বললে একটু বুঝে শুনে বলবেন।
তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করেন বলেন, কেউ কেউ বলেন, সোহরাব উদ্দিনও তো নৌকার লোক। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আরে ভাই, পক্ষি কি নৌকা হয়ে গেছে নাকি? এগুলো হলো প্রতারণা। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর অব. আখতারুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাকি পাঠিয়েছেন! প্রচার প্রচারণা না করলেও তিনি এমনিতেই পাশ করবেন। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রপাগাণ্ডায় বিভ্রান্ত হবে না। এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এই নৌকা স্বাধীনতার নৌকা, এই নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা। আপনারা যদি ভুল করেন তাহলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার। আমার মন বলছে নৌকার বিজয় হবে। আমি পাশ করবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা ভোট দিতে আসবেন। আপনাদের পরিবারকেও সাথে নিয়ে আসবেন। প্রতিবেশীকেও সাথে নিয়ে আসবেন। ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে আমাদের সমস্যা আছে। ৭তারিখ সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম এ আফজল বলেন, এই নির্বাচন দেশ গড়ার নির্বাচন, যুবকদের কর্মসংস্থানের নির্বাচন। শেখ হাসিনা যা অঙ্গীকার করেন তাই বাস্তবায়ন করেন। আগামীতেও আমাদের অনেক অঙ্গীকার আছে। যুবক ভায়েরা চাকরি পাবে, কর্মসংস্থান হবে। কৃষক ভায়ের জমি আরো উন্নত হবে, ফসল বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়ীদের দোকান পাট সমৃদ্ধ হবে, শিক্ষা বিস্তার হবে। ছোট ভাইয়েরা স্কুলে যাবে, বিনা মূল্যে লেখা পড়া করবে, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। এটি শেখ হাসিনা নতুন করে অঙ্গীকার করেছেন। এই অঙ্গীকরের সাথে যুক্ত থেকে ৭ তারিখ নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। এই নৌকা আপনাদের নৌকা, এই নৌকা বাঙ্গালীর নৌকা, এই নৌকা স্বাধীনতার নৌকা। এই নৌকার সাথে কারো হিস্যা নাই। নৌকার কোন বিকল্প নাই।
নৌকা প্রতীকের শেষ নির্বাচনী সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যন্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, অ্যাড. আবু নাসের মো. ফারুক সঞ্জু, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর, পাকুন্দিয়ার পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ছিদ্দিকুর রহমান, কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন খান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শারফুল কাদের মনি, সাবেক ভিপি দুলাল বর্মন প্রমুখ।