রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা ও প্রতিবন্ধকতা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রংপুর রেঞ্জ পুলিশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও মনোবল রয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন। তিনি বলেন, ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রসহ বাহিরে পুলিশের ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে রংপুর জেলার ৮ উপজেলার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আইন শৃঙ্খলা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডিআইজি বলেন, রংপুর বিভাগে যেসব চরের ভোটকেন্দ্র, প্রার্থীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন ভোটকেন্দ্র কিংবা যেসব কেন্দ্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নয়, এমন ভোটকেন্দ্রকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। রংপুর জেলায় ৬৫৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১৯টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ এসব কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন থাকবে। কত সংখ্যক ফোর্স থাকবে তা এখন বলছি না, কারণ এটি আমাদের পরিকল্পনার অংশ। এ ছাড়া মোবাইল টিম, রিজার্ভ ফোর্স এসব কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থা করবে এবং যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরী হলে তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রংপুর বিভাগে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার মত আশঙ্কা নেই। এরপরেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যে ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়েছিল এমন পরিস্থিতি ২০২৪ সালে হবে না। আমি ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনার ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। কেন্দ্রে কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে প্রিজাইডিং অফিসারকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অবহিত করবে। প্রয়োজনে ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ, বিশৃঙ্খলামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করতে।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইন শৃঙ্খলা ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম, রাজিয়া সুলতানা, রায়হান শরীফসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আবদুল বাতেন পুলিশ সদস্যদের করনীয়সহ নানা দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।