লালমনিরহাটে পোষ্টার ছেড়া ও ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগে আমিনুল ইসলাম খান নামে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৬ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ন পরিবেশে লালমনিরহাটের ৩টি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১২টা পর্যন্ত জেলার ৩টি আসনের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জেলার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন নতুন ভোটাররা। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর এলাকার মাস্টারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের একটি কক্ষে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। এতে কক্ষে থাকা চেয়ার, টেবিল, প্রার্থীদের বসার ব্রেঞ্চ পুড়ে যায়। আগুন দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দূর্বৃত্তরা। উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িমারী ইউপির বুড়িমারী বাজার, স্টেশন মোড়, উফারমারা মেডিকেল মোড় এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। কামারেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক জানান, ভোরে কেন্দ্রের বাইরে পাশে রাস্তায় একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। পাটগ্রাম থানার (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমাদের অফিসাররা সেখানে কাজ করছেন। নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। এর আগে শনিবার রাতে একটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে এবং রোববার ভোর রাতে ৩টি ভোট কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এদিকে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া দ্বিমূখী উচ্চবিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে আমিনুল ইসলাম খান নামে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোষ্টার ছেড়া ও ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ায় বাধ্য করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, প্রার্থীর পোষ্টার ছেড়া ও ভোটারদের ভোট দেওয়ায় বাধ্য করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। লালমনিরহাট জেলার তিনটি আসনে সুষ্টু ও শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে ভোট গ্রহনে কেন্দ্রগুলেতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেব, বিজিবি, সেনা বাহিনীর ষ্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। জেলায় ৬ জন জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট এবং ১৭ জন নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন।